ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

৩০০ জন প্রণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিবে বাকৃবি

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  
৩০০ জন প্রণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিবে বাকৃবি

প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে সর্বমোট ১০ ব্যাচে ৩০০ জন প্রণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিক্স বিভাগ। সর্বমোট ৬০০ জন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন কর্মকর্তাকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জন বাকৃবিতে এবং বাকি ৩০০ জন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিনের ব্যবহার ও কার্যপ্রণালী বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিক্স বিভাগ।

সার্জারি ও অবস্ট্রেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. আব্দুল আউয়াল ও প্রশিক্ষণ কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা। এছাড়াও ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন অধ্যাপক ও প্রশিক্ষণার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, সঠিক রোগ নির্ণয়ে মাঠ পর্যায়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাম ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কিন্তু বাস্তবে এ যন্ত্রের ব্যবহারে ভেটেরিনারি সার্জনদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বর্তমান প্রাণীসম্পদকে অধিকতর উন্নয়ন করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সবাইকে বেশি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডিভিএম একটি মৌলিক ডিগ্রি। এটি একটি ফাউন্ডেশন। যে ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়। এজন্য স্নাতকে ব্যাসিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কাউকে বিশেষজ্ঞ তৈরি করে না। এখান থেকে ডিভিএম পাশ করেই আল্ট্রাসোনোগ্রাম সঠিকভাবে করতে পারবে না। প্রাক্টিসের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগবে। যেকোনো কাজে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

/লিখন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়