ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

এবার আন্দোলনে নেমেছে চবি শিক্ষার্থীরা

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪  
এবার আন্দোলনে নেমেছে চবি শিক্ষার্থীরা

সেশনজট মুক্ত বিভাগের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দেন তারা।

এ সময় তাদের হাতে ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই’, ‘বয়স গেলে শেষ হয়ে কী করবো আর অনার্স করে’, ‘আমরা দেই ট্রফি আপানার দেন সেশনজট’ ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।

ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রবিউল আলম পাশা বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ডিপার্টমেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। আমাদের পরীক্ষার পর রেজাল্ট পেতে এবং ক্লাস শুরুর জন্য আন্দোলন করতে হয়। আমি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আমার ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে ফাইনাল ইয়ারের ক্লাস করেছেন। কিন্তু আমি এখনো দ্বিতীয় বর্ষে। আমাদের নির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই। আমাদের চাওয়া শুধু একটায়, সময় মত পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিতে হবে।

এ বিষয়ে ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের বলেন, এটা একটি খেলাধুলা সম্পর্কিত বিশেষ ডিপার্টমেন্ট। এখানে খেলাধুলা হয়। এটা বাংলা বা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের মত না। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি। ফলে এ বিভাগের পর্যাপ্ত গ্রাজুয়েট নেই এবং যারা বের হয়েছে, তাদের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেশনজট দীর্ঘায়িত হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের আর্থিক অনুদান না আসায় ৮ বছরের মধ্যে আমরা নিজস্ব বিল্ডিং তৈরি করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে তাদের অস্থায়ীভাবে ক্লাস হয়। এখন আমরা স্থায়ী ভবন তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি এবং শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যাবস্থা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের আন্দোলন সমর্থন করি। আমরা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চাই না।  তারা দাবি করছে উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে। আমরা তাদেরকে জানিয়েছি উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

/আকিজ/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়