ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

জবির ছাত্রী কমনরুম ও ওয়াশরুমে বেহাল দশা

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪  
জবির ছাত্রী কমনরুম ও ওয়াশরুমে বেহাল দশা

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ওয়াশরুম নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। ছাত্রী কমনরুম নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। সমস্যায় জর্জরিত ওয়াশরুমগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে দ্রুতই এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জবিতে পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নেই। যা আছে, সেগুলোও চরম অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন, নেই লাইটের ব্যবস্থা, অনেক বেসিনের ট্যাপ নষ্ট। অনেক সময় সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে না। সব মিলিয়ে অস্বাস্থ্যকর এ ওয়াশরুমগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়মিত।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রীদের জন্য কমনরুম রয়েছে মাত্র তিনটি। যা নারী শিক্ষার্থীদের অনুপাতে অপ্রতুল। এর মধ্যে নতুন একাডেমিক ভবনে একটি, বিজ্ঞান ভবনে একটি এবং সমাজবিজ্ঞান ভবনে একটি। এছাড়া কলা ভবন, ভাষা শহীদ রফিক ভবনসহ অন্যান্য ভবনগুলোতে নেই কোনো কমনরুম। যে কয়টি রয়েছে সেগুলোর মানও তেমন ভালো নয়, যা নিয়ে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নতুন ভবনে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি কমনরুম। কমনরুমটি ভবনের নিচ তলায় হওয়ায় উপরের তলার শিক্ষার্থীরা ব্যবহারের খুবই কমই সুযোগ পান।

রফিক ভবনের নিচতলার ওয়াশরুমগুলো ক্লাস চলাকালে পরিষ্কার করা হয়। শিক্ষার্থীরা ওয়াশরুমগুলো ব্যবহার করতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয় না। মনোবিজ্ঞান বিভাগের নিচতলার ওয়াশরুমগুলো সংস্কার করা হলেও বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত কমনরুমটি শিক্ষার্থীদের তুলনায় অত্যন্ত ছোট। কমনরুমের সামনের অংশটি বেশ অপরিচ্ছন্ন। ইন্টারনেটের ব্যবস্থা নেই। বাইরের দেয়ালটা থেকে মেয়েদের কমনরুম দেখা যায়। যা আমাদের খুবই বিব্রত করে। ওয়াশরুমগুলোও তেমন পরিষ্কার থাকে না।

এদিকে সমাজবিজ্ঞান ভবনে যে ছাত্রী কমনরুম আছে, সেখানে সর্বোচ্চ ৫-৬ জন শিক্ষার্থী বসতে পারেন। ছোট্ট এই কমনরুমে এত শিক্ষার্থীর চাপ নেওয়া সম্ভব নয়।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, এখানে জায়গার সঙ্কটে গাদাগাদি করে বসতে হয়। তাছাড়া ওয়াশরুমের পরিবেশও তেমন ভালো নয়। পানি-হ্যান্ডওয়াশ থেকে শুরু করে অনেক কিছুই মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না, যা খুবই সমস্যার। আমাদের হঠাৎ কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে, তা তদারকির জন্য কমনরুমে কোনো ব্যবস্থা নেই।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম রাইজিংবিডিকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার শাখাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোন কোন জায়গায় সমস্যা আছে, সেগুলো তারা তালিকা করে দ্রুতই সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যেন ক্লাস শুরুর আগেই ওয়াশরুমগুলো পরিষ্কার করে সে বিষয়টিও তারা দেখবে।

/লিমন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়