ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

পরিবর্তন হবে জবির ডে-কেয়ার সেন্টার

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪  
পরিবর্তন হবে জবির ডে-কেয়ার সেন্টার

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৮ সালের ৩ মার্চ অপরিকল্পিতভাবে যাত্রা শুরু করে ডে-কেয়ার সেন্টার। শিক্ষক ডরমেটরি ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত একমাত্র এ ডে-কেয়ার সেন্টারটি নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।

জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশু অফিস সময়ে দেখাশোনা করার জন্য সেন্টারটির যাত্রা শুরু হলেও নানামুখী সঙ্কটে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এবার সে সংকট কাটিয়ে শিশুদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ নিশ্চিতে তা স্থানান্তর করে আধুনিক ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

নিজস্ব অবকাঠামো না থাকা, অপ্রতুল কর্মচারী, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলনা ও আসবাবপত্রের অভাব, শিশুদের জন্য আধুনিক কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকাসহ নানামুখী সঙ্কট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল ডে-কেয়ার সেন্টারটি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের হাত ধরে এবার সেই সঙ্কট নিরসনের পথে হাঁটছে।

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম এটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ নেই বলেও জানান তিনি। পরে তা স্থানান্তর করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেন।

এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপাচার্যের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। এতে শিশু সন্তানদের ডে-কেয়ার সেন্টারে নিরাপদে রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীরাও তাদের শিশুকে ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাকসুদা আক্তার বলেন, ডে-কেয়ারে শিশুদের দেখাশোনা করার লোক একেবারেই কম ছিল। বাচ্চাদের জন্য আধুনিক ব্যবস্থাপনা এবং তাদের সুস্থ ও সঠিক বিকাশ ঘটনোর জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারটির আধুনিকায়ন হলে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের অনেক সুবিধা হবে।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হিরা সুলতানা বলেন, ডে-কেয়ার সেন্টারে যেসব খেলনা ও আসবাবপত্র রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। রুমের ভেতরে কেমিকালের গন্ধ আসতো। ডে কেয়ার সেন্টারটির স্থানান্তর ও আধুনিকায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম রাইজিংবিডিকে জানান, আমাদের ডে-কেয়ার সেন্টারটি শিশুদের থাকার মতো নয়। আমি পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভালো একটি জায়গায় স্থানান্তরের জন্য। যাতে একটি ভালো পরিবেশে শিশুরা থাকতে পারে এবং তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে। তাহলে শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীরা তাদের শিশুদের ডে-কেয়ারে নিশ্চিন্তে রাখতে পারবেন এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন।

/লিমন/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়