ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

সততা ফোয়ারার সংস্কার চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ২০ জানুয়ারি ২০২৪  
সততা ফোয়ারার সংস্কার চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

সৌন্দর্য্য বর্ধন ও নান্দনিকতার স্মারক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘সততা ফোয়ারা’। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ফোয়ারা দিয়ে নিয়মিত পানি প্রবাহিত হওয়ার কথা। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। নানা অযত্ন-অবহেলায় প্রায় বিকল হয়ে পড়ে আছে এই স্থাপত্যটি।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে ২০১৮ সালে ইবিতে এসে আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সততা ফোয়ারার উদ্বোধন করেন। দৃষ্টিনন্দন এই ফোয়ারার নকশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার টুটুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ এম হানিফ টলিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ অর্থায়নে এটি নির্মিত হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। পর্যাপ্ত যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফোয়ারাটি এখন জীর্ণশীর্ণ। ফলে এর পানির প্রবাহ থেমে গেছে। এক সময় ফোয়ারাটির পানি আর লাল, নীল ও সবুজ বাতির মিশ্রণে এর উপস্থিতির জানান দিতো। সেই আলো মিশ্রিত পানির ফোয়ারা এখন আর দেখা যায় না।

ফোয়ারার পাইপের ওপরের অংশের বেশকিছু ট্যাপ ভাঙা, যা দিয়ে পানি ওপরে ওঠে। যে লাইটগুলোতে এক সময় বিভিন্ন রঙের আলো জ্বলতো, সেগুলোও এখন ভাঙা ও নষ্ট। এর ফলে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সময়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর সংস্কার দাবি করে বলেন, নিয়মিত পরিচর্যা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ফোয়ারাটি ধুলাবালিতে ঢাকা পড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এতে নান্দনিক এই ফোয়ারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে এমন সৃষ্টিশীল একটি কর্ম প্রায় নিঃশেষের পথে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে সকল স্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সততা ফোয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিবসে বাহারী রংয়ের লাইটিং ও ঝর্ণার পানি শিক্ষার্থী ও দর্শকদেরকে মুগ্ধ করতো। কিন্তু আফসোসের বিষয়, বর্তমানে প্রশাসনের সুদৃষ্টির অভাবে সততা ফোয়ারা তার জৌলুশ হারিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সততা ফোয়ারার সংস্কার দাবী করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী একেএম শরিফ উদ্দীন বলেন, ‘সততা ফোয়ারা সংস্কারের জন্য একটি ফান্ড প্রয়োজন। আমরা এখনও এমন কোন ফান্ড পায়নি। তবে এটা সংস্কারের জন্য আমরা কি পরিমাণ খরচ হতে পারে সেটা নির্ধারণ করেছি। সেই একাউন্টটা অনুমোদন হলে আমরা এটা সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।

/ইদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়