ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বাকৃবিতে দুই সাইকেল চোর আটক

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪  
বাকৃবিতে দুই সাইকেল চোর আটক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাইকেল চুরি করতে এসে দুইজন হাতেনাতে আটক হয়েছে। আটক তাফসির ইমন এবং শাহরিয়ার আকন্দ সাদ নামের ওই দুজন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (কেবি কলেজ) বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

মঙ্গলাবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় উপাচার্যের ভবনের সামনে থেকে তাদের আটক করে নিরাপত্তা শাখায় নেওয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভেটেরিনারি অনুষদের সামনে ইমন ও সাদ তালা কেটে সাইকেল চুরির চেষ্টা করে। কিন্তু আশেপাশে লোকজন দেখে সাইকেলের তালা কেটে রেখেই পালিয়ে যান তারা। পরে ভেটেরিনারি অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিরাপত্তা শাখায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরদের চেহারা শনাক্ত করেন। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে তাদের আটক করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে মারধর শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে। তাদের ব্যাগে তল্লাশি করে তালা কাটার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং মুঠোফোনে চুরি হওয়া সাইকেলের ছবি, ভিডিও ও লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

নিরাপত্তা শাখার তথ্য মতে, আটকদের থেকে নগদ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, দুইটি কাটা তালা, তালা কাটার যন্ত্র, দুইটি মোবাইল ও বেশকিছু পুরাতন চাবি জব্দ করা হয়।

নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটকৃত তাফসির ইমনের পিতার নাম মো. শাহজাহান (বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী) এবং শাহরিয়ার আকন্দ সাদের পিতার নাম এম এ বারী আকন্দ। তারা উভয়েই ময়মনসিংহ সদরের কেওয়াটখালী মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে বাকৃবি নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদেরকে কোতয়ালী থানার কাছে হস্তান্তর করেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশ এবং কোতয়ালী থানা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জানান, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-বিষয়ক উপদেষ্টার কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এমন ছাত্র যারা কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, তাদের কলেজে রাখার প্রশ্নই আসে না। আমরা শিক্ষকরা জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করেছি। এরপর তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মানুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আটকৃতদের কাছে থেকে তথ্য নিয়ে চুরি যাওয়া সাইকেল উদ্ধার করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। যেসব শিক্ষার্থীর সাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হবে না, তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আংশিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

/লিখন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়