ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রস উৎসব

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪  
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রস উৎসব

খেজুরের রস বাঙালির গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। আবহমান বাংলার সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে  আয়োজিত হয়েছে ‘রস উৎসব-২০২৪’।

গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরা টুপটাপ শব্দ আর পাখিদের কলরবে আন্দোলিত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শীতের সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের সামনে বসে রসের মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রস উৎসবের উদ্বোধন করেন।

এসময় চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর বলেন, রস উৎসব মানে বাঙালি সংস্কৃতির উৎসে ফেরার চেষ্টা । আমাদের নিজস্ব মাটির যে রস, এই অমৃত রসধারায় এটি অনন্য। এই রস উৎসবের আয়োজন করায় আমি রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই।’

বাংলাদেশের খেজুরের রস নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজের সুযোগ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর ভালো মানের। এর খাদ্যপ্রাণ, খাদ্যমানের কারণে বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে কী খেজুরের রস পাওয়া যায়! আমরা একটা সন্দেহ হয়েছে এটা নিয়ে। পাওয়া গেলে আমরা নিশ্চয়ই শুনতাম। কোনো না কোনোভাবে বোতলজাত হয়ে সেটি আমাদের কাছে আসতো। এখনো যেহেতু সে রকম কিছু শুনিনি, তাই আমাদের খেজুরের রস নিয়ে ভাবতে হবে। এই রসটি আমাদের এই অঞ্চলের নিজস্ব সম্পদ কী না? এসব নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। খেজুর রসকে নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে এগোতে পারি।’

ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, ‘খেজুরের রস নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে। এটি ঠিক নয়। খেজুরের রসে নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হবে। এই নিপাহ ভাইরাসের জন্য তো রস খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। নিপাহ ভাইরাসের কথা ভেবে রস পান বন্ধ করে দিলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে খেজুরের গাছ বিলীন হয়ে যাবে।’

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান এর সঞ্চালনায় অতিথিরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শীতে খেজুরের রস খাওয়া নিয়ে তাদের জীবনের মজাদার অভিজ্ঞতা বর্ননা করে।

এর আগে, রংপুর অঞ্চলের দলগত সংগীতের মাধ্যমে রস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উৎসবে আগত সবাইকে খেজুরের রস পান করানোর মাধ্যমে উৎসবটি শেষ হয়। উৎসব থেকে প্রাপ্ত অর্থ দুঃস্থ অসহায় শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র প্রদানে ব্যয় করা হবে বলেও জানান আয়োজকরা।

/তৈয়ব/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়