ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতির হাতে সহকর্মী লাঞ্ছিত

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  
রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতির হাতে সহকর্মী লাঞ্ছিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একই বিভাগের শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিভাগের ৪৬৪তম একাডেমিক কমিটির সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিভাগের একাধিক শিক্ষক ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের ৪৬৪তম একাডেমিক কমিটির সভা মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। সভায় বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা কমিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা কমিটিতে সভাপতিসহ মোট পাঁচজন সদস্য থাকে। এর মধ্যে এক্সটার্নাল শিক্ষক হিসেবে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত পরীক্ষা কমিটির যিনি সভাপতি হন, তিনি তার পছন্দ মতো এক্সটার্নালের নাম সুপারিশ করেন। যা বিভাগের প্রচলিত নিয়ম।

কিন্তু পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সুপারিশ না নিয়ে আগেই একজন এক্সটার্নাল শিক্ষককে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন বিভাগের সভাপতি। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এই বিষয়টি নিয়ে সভায় আপত্তি জানান। এ সময় তার পক্ষ নেন সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। এতে বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর একপর্যায়ে সভাপতি তার চেয়ার থেকে তেড়ে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষকের গলা চেপে ধরেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে নিবৃত করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি নিয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বললে, তার সঙ্গে আমার তর্ক হয়। পরে তিনি চেয়ার ছেড়ে তেড়ে এসে আমার গলা চেপে ধরেন। আমি পাল্টা আক্রমণ না করে, তাকে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি না থেমে আমাকে মারার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে থামান। এতে আমি প্রচণ্ডভাবে অপমানিত হয়েছি।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগেও একজন শিক্ষক ও ছাত্রকে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি। তার কাছে কোনো সহকর্মী নিরাপদ নয়। তার এই পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক একটু উচু গলায় কথা বলেছেন। মিটিংয়ে সাধারণত এমন হয়েই থাকে। তবে বিভাগের সভাপতির উচিত হয়নি তাকে লাঞ্ছিত করা। তাও ভালো ভুক্তভোগী শিক্ষক কোনো পাল্টা আক্রমণ করেননি। যদি হতো তাহলে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নিত।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি মুঠোফোনে এর চেয়ে বেশি কথা বলবেন না জানিয়ে অফিসে আসতে বলেন।

/শাকিবুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়