ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবির পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ পুনর্বহাল

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  
বশেমুরবিপ্রবির পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ পুনর্বহাল

আত্মপক্ষ সমর্থন সন্তোষজনক না হওয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীর পূর্ব-বহিষ্কারাদেশ পূর্ণবহাল রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। এর মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী এবং তিন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

স্থায়ী বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি বিভাগ চতুর্থ বর্ষের রনি মৃধা এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল আহম্মেদ সাকিব।

অন্যদিকে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের সাইফুল ইসলাম সাগর, ফার্মেসি বিভাগের আবু হেনা শেখ এবং রাতুল হাসান রুমনকে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই আমরা তাদেরকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধি মোতাবেক আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও আইনেন প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটনোর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ বনাম ফিসারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে ফার্মেসি বিভাগ ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় ১১ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে গিয়ে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ও তার সহযোগীরা মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এফএমবি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধর করে।

এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে সাজ্জাদ ওইদিন রাতে আমরণ অনশনে বসে। পরে প্রক্টোরিয়াল বডি ও শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষের আশ্বাসে সাজ্জাদ অনশন ভাঙ্গে। পরে ৬ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিবুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। তদন্ত কমিটি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী এবং তিন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করে।

/হৃদয়/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়