ঢাকা     সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩১

বেতন-ভাতার স্থায়ী সমাধান চান ইবি ল্যাবরেটরির শিক্ষকরা 

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪  
বেতন-ভাতার স্থায়ী সমাধান চান ইবি ল্যাবরেটরির শিক্ষকরা 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতাদির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশসান ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

এতে উপস্থিত ছিলেন ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুজাম্মিল হক মোল্লাহ। এছাড়াও সহকারী  শিক্ষক গোলাম মামুন, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুল আলীম, আনজুমান আরা, ফেরদৌসী খাতুন, আফরোজা বেগম, এনায়েতুন পারভীন, বুলবুল আহমেদ, মশিউর রহমান, জিয়ারুল ইসলাম, মর্জিনা আফরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ‘আমার সবাই পড়তে চাই, আমার শিক্ষকের বেতন চাই’, ‘আমার শিক্ষকের বেতন দাও, দিতে হবে’, ‘শিক্ষকের বেতন নিয়ে তালবাহানা বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’, ‘আমার শিক্ষকের বেতন বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার শিক্ষক রাস্তায় কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘শ্রেণি কক্ষে ফিরতে চাই, আমার শিক্ষকের বেতন চাই’, ‘স্কুল নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ কর, করতে হবে’ সংবলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসের বেতন না পাওয়ায় ১৭ জানুয়ারি ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ বেতন-ভাতাদির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান না আসায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুজাম্মিল হক মোল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা যথা নিয়মে বেতন পেলেও আমরা কেনো পাবো না। আমাদের অপরাধটা কি? আমাদের কেনো বেতন ভাতার দাবিতে মাঠে নামতে হবে। এই ক্যাম্পাসে অনেক ধরনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম মনে হয় বেতন ভাতার দাবিতে আমরা মানববন্ধন করছি। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারাসহ সবার সাথে কথা বলেছি। তখন তারা বেতনের আশ্বাস দিলেও আমরা তা পাইনি। স্কুল প্রতিষ্ঠার ২৮ বছরে এরকম কখনো হয়নি। হঠাৎ করে বর্তমান প্রশাসন কি কারণে বেতন বন্ধ করে রেখেছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রথম দিকে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে দেখা করতে গেলে, আমার সঙ্গে তিনি রুঢ় আচরণ করছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এক মাসের বেতন বন্ধ থাকায় তারা মানববন্ধন করেছে। এই বেতন এক বছর আগে ইউজিসি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত থেকে তাদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু ইউজিসির নিয়শ অনুসারে এই বেতন সরকারি স্কুলের মত হওয়ার কথা। এরপরও আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছি। ইউজিসি শীগ্রই এটির ব্যবস্থা নিবে।

/ইদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়