ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল মাভাবিপ্রবি উপাচার্য

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৩:২৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল মাভাবিপ্রবি উপাচার্য

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ থাকা শিক্ষকরা ৪ ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ হলগুলোর তালা খুলে দেন।

এর আগে, শনিবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাইনিং সুবিধা না থাকাসহ নানা সমস্যার সমাধানের দাবিতে আন্দোলনে নামে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনের সঙ্গে দিনভর আলোচনা করে কোনো সমাধানে না আসায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপাচার্যসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা।

এছাড়া এদিন দুপুরে প্রথমে শেখ রাসেল হলের গেটে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জননেতা আব্দুল মান্নান হলে তালা দেয় তারা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা রাতেই প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের মিল চালুর জন্য দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বাকি দাবিগুলো সমাধান করতে দ্রুতই কাজ শুরু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাফেটেরিয়া খোলা রাখার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নেই। নেই কোনো ইন্টারনেট ব্যবস্থা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা মিটিং করার পরও সমাধান হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা এই দুই হল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছিলেন। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তাদের দাবিগুলো হল- শেখ রাসেল হলের ডাইনিং ও ইন্টারনেট চালু, ইলেকট্রনিক সমস্যার সমাধান, লোকবল বৃদ্ধি, মসজিদে মাইকের ব্যবস্থা, সাইকেল-বাইক রাখার জন্য গ্যারেজের ব্যবস্থা, খেলার ব্যবস্থা ইত্যাদি করতে হবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শেখ রাসেল হলের ডাইনিং চালু না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। গ্যাসের সুবিধা না থাকায় ৫০০-৬০০ জন শিক্ষার্থীকে দুই বেলা খাওয়ানো অসম্ভব। সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

/কাওছার/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়