ঢাকা     সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩১

আনর্তে মেতেছে রাবি

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪  
আনর্তে মেতেছে রাবি

আনর্ত নাট্যমেলায় মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় মেলাটির উদ্বোধন হয়। এতে দেশ বিদেশের গুণী অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।

এর আগে, বেলা ১১টায় বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশিদ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এ ছাড়া বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, বিশিষ্ট নাট্যজন তারিক আনাম খান, মলয় ভৌমিক, গাজী রাকায়েত, বন্যা মির্জা, আব্দুস সেলিম, আহমদ ইকবাল হায়দার, মোহাম্মদ বারী, মাসুম রেজা, সালাউদ্দিন লাভলু, অরুণা বিশ্বাস, ওয়াহিদা মল্লিক জলি এবং ভারত থেকে অংশুমান ভৌমিক, মলয় মিত্র, সঞ্চয়িতা বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনজনকে আনর্ত পুরষ্কার প্রদান করা হয়। মেলায় আনর্ত পুরস্কার পেয়েছেন যাত্রা শিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস, আবু তাহের। জ্যোৎস্না বিশ্বাস দুই হাজারের বেশি যাত্রায় সরাসরি অভিনয় ও ৩০টিতে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। বাবুল বিশ্বাস বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভস এর কর্তা। তিনি বাংলাদেশের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্ব দরবারে পরিচিতির কাজটি করে চলেছেন। আবু তাহের দুই হাজারের বেশি নাটক ও যাত্রায় লাইটিং করেছেন।

সোমবার মেলায় মঞ্চনাটক 'পারো', পথনাটক 'সুনাগরিকের সন্ধানে', পালানাটক 'কালিন্দীর গীত' মঞ্চায়িত হয়। মঙ্গলবার মঞ্চনাটক 'ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং', 'কহে ফেসবুক', 'মূল্য-অমূল্য' এবং পথনাটক 'বহমান' মঞ্চায়িত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্ট নাট্যজন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, আমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি। আমরা 'আমরা' থেকে 'আমি'তে পরিণত হয়েছি। আজকের এই নাট্য উৎসব থেকে আমরা যেন 'আমি' থেকে 'আমরা' তে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারি, এটাই প্রত্যাশা।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে অংশগ্রহণকারী নাট্যকার অংশুমান ভৌমিক বলেন, হাসান আজিজুল হক বলতেন সংস্কৃতির ভূমি অবিভাজ্য। বাংলার সংস্কৃতির যে অবিভাজ্য ভূমি, তাতেই আমরা বাস করি। তাই ভরতের নাট্যশাস্ত্রে যে প্রারম্ভিক অধ্যায়গুলো আছে, তার চর্চা এখানে হয়। যার মুক্ত সাধকেরা আজকে এখানে উপস্থিত আছে। এই সম্মেলনের তুল্য সম্মেলন হয়তো দুই বাংলার কোথাও আর নেই।

মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা আমাদের এক সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু সেই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র এখন আর নেই। রাজনীতির কাছে চলে গেছে। তারপরেও আনর্ত আজকে যে সাহস দেখিয়েছে, যে নাট্যজনদের এক করেছে, তা সত্যিই পরম গৌরবের।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এটা বাঙালির মেলা। এই অনবদ্য অনুষ্ঠান আমাদেরকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। একটা বৈরী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। তাই বলে আমাদের থেমে গেলে হবে না। আমাদের পথ বের করে নিতে হবে এবং এই পথ বের করার জন্য আমাদেরকে পথে নামতে হবে। এই পথ বের করার জন্য আমাদের যে নাট্য উৎসব হচ্ছে, যে নাটক হচ্ছে সেটা আমাদের অনেক পথ দেখাবে।

/শাকিবুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়