ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রাবির নির্মাণাধীন হল ধসের তদন্ত শুরু হয়নি আজও

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
রাবির নির্মাণাধীন হল ধসের তদন্ত শুরু হয়নি আজও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হলের একটি অংশ ধসে পড়েছে। ঘটনার চারদিন পার হলেও তদন্ত কমিটির কাছে এখনও চিঠি পৌঁছায়নি।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটির সদস্যরা বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত তারা কোনো চিঠি পাননি। তাই এখনো তদন্তের কাজ শুরু করতে পারেননি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, তারা আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পাননি। তিনি রাজশাহীর বাইরে আছেন। চিঠি পেলে তদন্তের কাজ শুরু করবেন।

কমিটির সদস্য মো. ইমরুল হাসান বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছুটিতে ছিলাম। আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি এসেছে কি-না, বলতে পারছি না। তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আজ রোববার যেহেতু কর্মদিবস আছে, হয়তো কোনো নির্দেশনা আসবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এখনো অফিস করতে পারিনি। তদন্ত কমিটির চিঠি আমার মাধ্যমেই পৌঁছাবে। চিঠির কাজ চলছে। আজ বিকেলে কিংবা আগামীকাল সকালে চিঠি ইস্যু করা হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন শ্রমিক আহত হন। সেদিন রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শেষ করে। ওইদিন রাতেই এক জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সকালে নির্মাণাধীন ওই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ধসে পড়া ভবনে কোনো শ্রমিক নেই। কাজ বন্ধ আছে। তবে ভবনের অন্য অংশে ১০ তলায় কাজ চলছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শ্রমিকরা ধসে পড়া ভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছিলেন। এতে আলামত নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় সেই কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

এদিকে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার পর ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত তিন-চারজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ভবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আগের নিরাপত্তাকর্মীদের বদলি করা হয়েছে। তারা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে এসেছেন। সেখানে তাঁদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কাজ চলছে। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ তদন্ত করতে আসেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড রূপপুরের ‘বালিশ-কাণ্ড’ ঘটনায় আলোচিত। বিভিন্ন সময়ে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

/শাকিবুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়