ঢাকা     সোমবার   ১১ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২৭ ১৪৩১

ইবি শিক্ষার্থীদের ব্যাচ ডে

টি-শার্টে অশ্লীল বাক্য, জুতাসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উল্লাস

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
টি-শার্টে অশ্লীল বাক্য, জুতাসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে উল্লাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের আয়োজনে ‘ব্যাচ ডে’ পালিত হয়েছে। এসময় তাদের গায়ে থাকা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে তাদের জুতা পায়ে উল্লাস করতেও দেখা যায়। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তবে তাদের কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ও জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য নয় এমন বাক্য লিখেছে। কেউ কেউ শিক্ষকদের নিয়েও বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখেছে নিজেদের টি-শার্টে। তাদের মধ্যে অনেককেই জুতা পায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের উপর নাচানাচিসহ উল্লাস করতে দেখা যায়। 

এ ব্যাচ ডে অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, যেটা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা নতুন হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। 

তবে টি-শার্টে অশ্লীল বাক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচ ডে নামক অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে চালু আছে, যেখানে টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লেখা। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে আনন্দ করবে ঠিক আছে। তাই বলে তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে, এটা মানানসই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শের জায়গা। তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে নাচানাচি করা অবশ্যই জাতির জন্য অসন্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আচরণবিধির বিষয়ে দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিষয়গুলো দেখেছি এবং আগামী শনিবার প্রক্টর অফিসে তাদেরকে ডেকেছি। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব।

এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটার আয়োজক কারা বা কেনো করেছে, তা আমি জানি না। তবে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ বাক্য কেউ ব্যবহার করে, তাহলে অবশ্যই সেটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখবো।

/ইদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়