ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিচার দাবি, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ 

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘আমার বোন লাঞ্ছিত কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে’, ‘সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই , নিরাপত্তা কোথায়’, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন?’ স্লোগান দেন।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি ) সকাল সাড়ে ১০টায় পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পরে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা, রিক্সাগুলোর নির্ধারিত কোড ও রিক্সাচালকদের পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং অবিলম্বে শ্লীলতাহানির ঘটনার বিচার করা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই, সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে সংযোগ জোরদার করার জন্যে সাধারণ নম্বর দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে কাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং শ্লীলতাহানির এই ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে।

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রক্টর এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক ব্যাপার। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তায় সিএনজি প্রবেশ করান চালক। তখন তার সিএনজিতে কোনো যাত্রী ছিল না। পরে ওই সিএনজি চালককে ধরার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে যান।