ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নীপিড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত মশাল মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানকালে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ইতোমধ্যে অছাত্রদের বের করার বিষয় একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলা হয়েছিল। তার সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার কোনো জবাবদিহিতা দেওয়া হয়নি। র‍্যাবের ভাষ্য মতে এই বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের আঁখড়া। এই বাণিজ্য অনেকদিন ধরে চলছে। প্রশাসন এগুলো দেখভাল করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ রকম হলে সামনের ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন কি-না, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া, আ র ক রাসেল, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।

এদিকে অবস্থান চলাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এসময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে সিন্ডিকেটের বেঁধে দেওয়া পাঁচ দিনের মধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করতে না পারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থানরত অছাত্রদের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্যসহ উপস্থিত প্রশাসনিক শিক্ষকরা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আরও কয়েকদিন সময় চান। পরে আন্দোলনকারীরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।

/আহসান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়