শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক হলেন সিকৃবির দুই শিক্ষার্থী

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি’ শিরোনামে প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক। গত ডিসেম্বরে ইনোভেশন ও ই-গভার্নেন্স টিম কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণা আহ্বান করে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৫টি আইডিয়া থেকে সেরা ছয়টি দলের আইডিয়া গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সচিবালয়ে উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিকের আইডিয়া ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’ শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ  বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তাদের উদ্ভাবিত ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’ গৃহস্থলীর আবর্জনা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট ও দোকানপাটের বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার বানিয়ে কৃষকের কাছে পৌছে দেওয়ার প্রযুক্তি।

অন্যান্য পাঁচটি সেরা আইডিয়া হলো- মো. রাজিবুল ইসলাম, আকিমুন হাসান রাফি ও ফরিদুল ইসলাম উদ্ভাবিত ‘ইআরপি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিকৃবির প্রশাসনিক কার্যক্রম উন্নতকরণ’, মোমিনুল হক সিফাত ও তার দলের উদ্ভাবিত ‘এগ্রি মার্কেট প্লেস বাংলাদেশ ওয়েবসাইট’, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার দলের উদ্ভাবিত ‘নিয়ারবাই এগ্রি এক্সপার্ট ফাইন্ডিং অ্যাপ’, বিল্লাল হোসাইন ও সব্যসাচী নিলয় উদ্ভাবিত ‘টেকসই খাদ্য উৎপাদনের জন্য স্মার্ট সৌরচালিত অ্যাকোয়াপনিক্স সিস্টেম’ এবং রাকিবুল আলীম স্মরণ উদ্ভাবিত ‘স্মার্ট ডাইনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: ইউনিডাইন’।

এদিকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ কর্মশালায় সিকৃবির প্রতিনিধিত্ব করবেন আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক উদ্ভাবিত ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’।

সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা জানান, প্রতিটি আইডিয়া আমাদের পছন্দ হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান যারা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত আইডিয়াগুলো সেখানে পাঠাবো।

তিনি সিকৃবির শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, যারা প্রকৃত মেধাবী শত প্রতিকূলতাও তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তার উন্নয়নে সিকৃবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়নে এবং ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।