ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। একই সঙ্গে আজ পহেলা বসন্ত। আর বসন্ত মানেই পূর্ণতা, নতুন প্রাণের কলরব। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগে দোলা।

বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীদের রঙ-বেরঙের ফুল ও বাসন্তী শাড়িতে সাজতে দেখা যায়। এসব নিয়ে রাইজিংবিডি.কম এর কাছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি জানিয়েছেন।

আমার কাছে ভালোবাসা হচ্ছে এক বিশেষ অনুভূতি কিংবা মায়া। যা মানুষের হৃদয়ে কারও জন্য আধ্যাত্মিকভাবে জন্ম নেয়। যে অনুভূতি কখনো বৃদ্ধ হয় না, যেখানে থাকে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সম্মান, এক সঙ্গে জীবন পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা। যে মায়ার কারণে আপনি কাউকে প্রচণ্ড মিস করবেন, যার দূরত্ব আপনাকে শূন্যতায় ভাসাবে, যাকে হারানোর ভয়ে আপনার হৃদয়ে অস্থিরতা তৈরি হবে, যার সঙ্গ পেলে নিজের মধ্যে সুখী সুখী ব্যাপারটা কাজ করে। এই অদ্ভুত মায়াটাই হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা পবিত্র। প্রিয়জনদের ভালো রাখা কিংবা ভালো থাকার প্রার্থনা করাটাকেও ভালোবাসা নামেই আমি অভিহিত করব।

(লেখক : রাশিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।)

ভালোবাসা শুধু একজন প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু সকলের সঙ্গে মিলেমিশে দুঃখ, আনন্দ ভাগাভাগি করে এক সঙ্গে বেঁচে থাকাই হলো ভালোবাসা।

বর্তমান সময়ে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে কার্ড, ফুল, চকলেটসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী দিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেয়। যা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ না। একটি আদর্শ পরিবার, সমাজ ও দেশ গড়তে হলে, এ ধরনের অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ভালোবাসা দিবস পালনের নামে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ঘটবে। যার ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

(লেখক: তাসফিয়া তাসনিম, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।)

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সমাজের মধ্যে ভালোবাসার মূল্য ও গুরুত্ব উচ্চতা পেতে আমরা সম্পর্কে আরও গভীরভাবে ভাবতে পারি। অন্যদের সঙ্গে প্রেম ও সহযোগিতা দেখাতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, এইদিনে সম্পর্কের সারা বছরের সকল রাগ-অভিমান, ঝগড়া-বিবাদকে ভুলে গিয়ে ভালোবাসার পুনর্জন্ম হয়। ১৪  ফেব্রুয়ারিতে ফুল বিক্রেতার মুখের হাসিতে আলোকিত হয় তার পরিবার।

(লেখক : জাহিদ হাসান বলেন, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।)

ভালোবাসা শুধু গার্লফ্রেন্ডকেন্দ্রিক না, সার্বজনীন। মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রিয় মানুষটি থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা অভুক্ত শিশুর জন্যও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। বাবা -মাকে যদি বলতে পারি, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না মিললেও তোমরাই আমার সবটুকু ভালোবাসা। পূর্ণতা পাক সব ভালোবাসা ও সবসময় আমাদের পরিবারগুলোর সঙ্গে ভালো সময় কাটুক।

(লেখক : আল ফাহাদ, শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।)

একে তো ফাগুনের আগুন, তার ওপর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দুটি উৎসব এক হয়ে হৃদয়ে দোলা দিয়েছে খুব বেশি। বসন্তকে বরণ করে নিতে বাঙালি আয়োজন করে মেলা, সার্কাসসহ নানা সমারোহ। আমি ছোটবেলা থেকেই মেলায় যেতাম বাবার সঙ্গে। মেলায় সার্কাস দেখতাম। বাবা আমার পছন্দের টমটম গাড়ি, ঝুড়ি, জিলাপি কিনে দিতেন। সেগুলো নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা মনে পড়ে যায়। 

(লেখক : শরিফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।)

ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না। আমিও সে রকম একজন মানুষ। বসন্তকে পূর্বে আলাদাভাবে পালন করলেও এখন নিজের মতো পালন করি। বসন্ত আমার আবেগের ঋতু। এখনতো ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত একত্রে উদযাপন হয়। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষকগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমেই কাটে আমার পহেলা ফাগুন।

(লেখক : মোহাম্মদ নাছরুল হক, শিক্ষার্থী, অর্থনীতি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।)

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়