ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

কুবি শিক্ষকের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
কুবি শিক্ষকের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল

প্রায় চার বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। তবে নির্ধারিত সময়ে ডিগ্রি শেষ করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উপ-পরিচালক মুশফিকা ইফফাত স্বাক্ষরিত এক পত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পত্রে মেহেদী হাসানের প্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিলের বিষয় অবহিত করা হয়। এছাড়া দেড় বছরের কোর্সে ১২ ইউনিট/কোর্স অধ্যয়নের শর্ত থাকলেও তিনি প্রথম বছরের মাত্র একটি ইউনিট বা কোর্স সম্পাদন করেছেন বলে জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ বাতিল সংক্রান্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক (তৎকালীন পদ) মেহেদী হাসানকে অস্ট্রেলিয়ার ম‍্যাকুয়ারি  ইউনিভার্সিটিতে এক বছর ছয় মাস মেয়াদী মাস্টার অফ বিজনেস অ্যানালেটিকস কোর্সে অধ্যয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০১৯-২০ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রদান করা হয়। বর্ণিত ডিগ্রি অর্জনের জন্য ১.৫ বছরে তার ১২টি ইউনিট/কোর্স অধ্যয়নের শর্ত থাকলেও তিনি প্রথম বছরে মাত্র একটি ইউনিট/কোর্স সম্পন্ন করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি (মেহেদী হাসান) আত্মীয়-স্বজনের অসুস্থার কারণে নির্ধারিত কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি উল্লেখ করে কোর্স সম্পন্নের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নির্বাচন কমিটি আবেদনে উল্লেখিত কারণসমূহ যৌক্তিক না হওয়ায় ফেলোশিপ বাতিলের সুপারিশ করে। পরবর্তিতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ স্টিয়ারিং কমিটিতে উত্থাপিত হলে, তা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

উল্লেখ্য যে, বিষয়টি গত ৩১ আগস্ট ২০২১ তারিখে তাঁকে ই-মেইল মারফত অবহিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতনসহ ছুটিতে ছিলেন তিনি। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা ছুটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের  সিন্ডিকেট থেকে প্রাপ্ত আরও ১০ মাস ২৬ দিনের ছুটি কাটান তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'করোনার কারণে ও আত্মীয়-স্বজনের অসুস্থতার কারণে আমার ডিগ্রি সম্পন্ন করতে লেইট হয়েছে। ডিগ্রি করতে লেইট হওয়ায় আমার ফেলোশিপ বাতিল হয়েছে। ফেলোশিপ বাতিল হওয়ার পর আমি আমার পড়াশোনা শেষ করেছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

/এমদাদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়