ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বর্তমান প্রশাসন মানসিক বিকারগ্রস্ত : চবি শিক্ষক সমিতি

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
বর্তমান প্রশাসন মানসিক বিকারগ্রস্ত : চবি শিক্ষক সমিতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।

গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে চট্টগ্রাম নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য শিরীন আখতার। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এসময় উপাচার্যের বলা কথার প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষক সমিতির পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন যেমন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে, সেখান থেকে উঠতে গেলে সবাইকেই ডুবতে হবে। আমরাও সেই জলেই নিমজ্জিত হয়েছি। বর্তমান প্রশাসন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তারা যেভাবে কথা বলেন, তা দু:খজনক।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, উপাচার্য বলেছেন ২৬ দফার অধিকাংশ পূরণ করেছেন। আপনারাই আমাদের দাবির সঙ্গে তার বক্তব্য মিলিয়ে দেখুন, তিনি কতগুলো দাবি পূরণ করেছেন। তিনি সিন্ডিকেটকে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। সেখানে উপাচার্য চাইলেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এমনকি গৃহীত সিদ্ধান্ত বিকৃতিও করতে পারেন। এই সিন্ডিকেট পক্ষপাতদুষ্ট।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, উপাচার্য সিন্ডিকেট নির্বাচনও দেন না। সিন্ডিকেট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি উপেক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করছেন। এই সিন্ডিকেটের কাছেই আমাদেরকে অভিযোগ দিতে বলে। তারা যে চরমভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত এটাই তার প্রমাণ।

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনসহ নানান অনিয়ম হয়। উপাচার্য এর বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতিকে মামলা করতে বলেছে। কিন্তু তারা আজও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা যোগ্যদের উপেক্ষা করে বিতর্কিতদের শিক্ষক পদে নিয়োগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে যারা প্রশাসনের সমালোচনা করছে, তাদের বিভিন্নভাবে অবদমিত করা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নামে ভাগ-বাটোয়ারা হচ্ছে বলে মন্তব্য করা এক সংসদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভাগ-বাটোয়ারার এই অভিযোগ কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ নিবেন না। ভর্তি পরীক্ষায় ব্যয়িত অর্থের বাইরে যে অর্থটুকু থাকে তা কিভাবে কোন খাতে ব্যয় হয়, তা প্রশ্ন উঠার পূর্বেই প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, উপাচার্য গত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যান্ত হীনমন্যতার পরিচায়ক। একজন সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থেকে তিনি এ ধরণের কথা বলতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা দ্রুত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।

/আকিজ/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়