ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

‘কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে উপাচার্য’

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
‘কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে উপাচার্য’

গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অংশগ্রহণ নিয়ে শিক্ষক সমিতি ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে উপাচার্য বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছে শাপলা ফোরাম। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতোমধ্যে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক সমিতি এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। কিন্তু এ সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গুচ্ছে পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এতে উপাচার্য তার একনায়কতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এবং গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতি এক জরুরি মিটিংয়ে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরও গত ৬ ফেব্রুয়ারি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষক নেতাদের আলোচনায় ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

এ বিষয়ে শাপলা ফোরামের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, উপাচার্যের অনীহার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ইউজিসিকে অবহিত করা হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে পুনরায় গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

এছাড়াও তারা ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসানের পদ অবনমনকে উপাচার্যের প্রতিহিংসার হাতিয়ার বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অনুষ্ঠিত প্রভাষক পদে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা চলাকালে বিশেষজ্ঞ সদস্যসহ নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে ড. বখতিয়ার হাসান (বিভাগের তৎকালীন সভাপতি) অশোভন আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে  তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬২তম সিন্ডিকেট সভায় তার বর্তমান পদ (সহযোগী অধ্যাপক) অবনমন করে প্রভাষক পদে প্রারম্ভিক বেতন (২২০০০-৫৩০৬০ টাকা) নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এ নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ড. বখতিয়ার হাসানের পদ অবনমনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় ২১ সভাপতি।

/ইদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়