ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

রাবির বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে বসন্তবরণ

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১১, ৪ মার্চ ২০২৪  
রাবির বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে বসন্তবরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে গতকাল রোববার (৩ মার্চ) বসন্তবরণ উৎসব করেছে সঙ্গীত বিভাগ। সেখানে অতিথি হিসেবে ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ্য অধ্যাপকরা বলছেন, সাধারণত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে আমাদের শোকাহত হওয়ার কথা, জাতির ত্যাগী সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ইতিহাস চর্চা করার কথা। প্রাসঙ্গিক না হলে সেখানে কোনো অনুষ্ঠান করা সমীচীন নয়। তাছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য তো আলাদা মঞ্চ আছেই।

বিষয়টিকে 'বেমানান' উল্লেখ করে ভিন্ন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এদিন সন্ধ্যায় তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে লিখেন, 'কেমন যেন খাপছাড়া মনে হচ্ছে। রাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের বেদীতে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠান!!'

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, বুদ্ধিজীবী চত্বর এটা তো কোনো মঞ্চ না। এটা একটা বেদি, যেখানে আমরা ফুল দিই। শহিদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর- এসব জায়গায় আসলে এ রকম অনুষ্ঠান অনুচিত মনে হয়েছে আমার কাছে।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ক্যাম্পাসের যেকোনো জায়গায় অনুষ্ঠান করতে হলে আগে প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতি নিতে হয়। এ বিষয়ে প্রক্টর অফিস ভালো বলতে পারবে। আর আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছি। কারণ এটা বাঙালি সংস্কৃতির একটা অংশ।

সঙ্গীত বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক  শায়লা তাসমিন বলেন, এর আগেও সেখানে নাটক, গানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে। আর বসন্তবরণ উৎসব আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ। এখানে নেতিবাচক খুব বেশিকিছু দেখছি না আমি। তবে এরপর থেকে আমরা সচেতন হবো।

বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠানের অনুমতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল প্রশাসন ভবনের পাশে অনুষ্ঠানটা করা হবে। কিন্তু তারা বুদ্ধিজীবী বেদিতে করবে এটা জানতাম না। আর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে এ রকম অনুষ্ঠান করা সমীচীন কি-না আমার জানা নেই।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বুদ্ধিজীবী চত্বরে অনুষ্ঠান অবশ্যই হবে। তবে সেখানে এমন কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, যাতে বুদ্ধিজীবীদের অসম্মান হয় বা কোনো নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।

প্রক্টর দপ্তরের অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা হয়তো কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ক্যাম্পাসের কিছু কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে অনুমতির ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিৎ।

/শাকিবুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়