ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বন্ধ তিতুমীরের ‘তোলপাড়’

সিয়াম মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৭ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৫:৪৫, ৭ মার্চ ২০২৪
বন্ধ তিতুমীরের ‘তোলপাড়’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র ক্যান্টিন 'তোলপাড়'। দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ ছিল এটি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত এ ক্যান্টিনটি চালুর দু’বছর না পেরোতেই আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

এতে করে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকি সত্ত্বেও বাধ্য হয়েই বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। খাবারের জন্য দিতে হচ্ছে উচ্চমূল্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ ক্যান্টিন ‘তোলপাড়’ এর দরজা তালাবদ্ধ। শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনের সামনে থাকা সিঁড়িতে বসে সময় কাটাচ্ছে। ভেতরে ধুলার আস্তরণ আর ঝরাপাতা পড়ে রয়েছে। পরিত্যক্ত হয়ে গেছে আসবাবপত্র। ক্যান্টিনের চারপাশ খুবই অপরিচ্ছন্ন। পাশে থাকা ময়লার ভাগার আসছে দুর্গন্ধ।

তেলপাড়ের পেছনে থাকা হাত ধোয়ার বেসিনটি ভেঙে পড়ে রয়েছে। নেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা। ব্যবহৃত পানি জমে থাকায় কলেজের দ্বিতীয় গেইট দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ছে মশার উপদ্রব।

এদিকে চালুর দুই বছরের মধ্যেই কোনোরকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ক্যান্টিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ প্রদান করলেও মেলেনি সমাধান। ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। কে বা কারা কোন উপায়ে চালাচ্ছিল তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউই। তবে কোনোরকম দরপত্র বা চুক্তি ছাড়াই গেল দুই বছর চলছিল তোলপাড়।

কলেজসূত্রে জানা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের তত্ত্ববধানে বন্ধ ক্যান্টিন চালু হয়। কিন্তু তারা আশানুস্বরুপ লাভবান না হওয়ায় ক্যান্টিন পরিচালনার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলে, শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ক্যান্টিন বর্ধিতকরণ ও রান্নাঘর নির্মাণের প্রাথমিক আলোচনা ও সম্ভাবনা নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। তবে ওই কমিটি আজও কোনোরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিষয়টি এখন ক্রয়, সংস্কার ও উন্নয়ন কমিটির কার্যাদিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ক্যান্টিন চালু হওয়ার পর খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন তো দেখছি, এটা কোনো কাজেরই না। উল্টো প্রশাসন টাকা নষ্ট করে বিল্ডিং তৈরি করলো। শিক্ষার্থীরা যদি নিয়মিত সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবারই না খেতে পারে, তাহলে ক্যান্টিন থেকে লাভ কি?

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আরিফিন শাওন বলেন, আমাদের ক্যান্টিনটি যখন চালু ছিল, তখন এর খাবার মানসম্মত ছিল না। স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বল্প মূল্যের খাবারের বিষয়টি  নিশ্চিত করে ক্যান্টিনটি পুনরায় চালু করা হোক । তাছাড়া, এর ভেতরে তো পর্যাপ্ত বসার জায়গাও নেই, বাড়তি জায়গায় ব্যবস্থা করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টিনটির চারপাশের পরিবেশটাও পরিষ্কার থাকা দরকার।

এ বিষয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌস আরা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়