ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রধান প্রকৌশলী বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের চিঠি

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৭ মার্চ ২০২৪  
প্রধান প্রকৌশলী বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের চিঠি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্কার কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জমাদানের জন্য বাকৃবি উপাচার্য বরাবর রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ওই আবেদন পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে হওয়া সংস্কার কাজের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

মো. এমরান হোসেন স্বাক্ষরিত দুদকের প্রেরিত চিঠি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ইস্যুকৃত শহিদ শামসুল হক হল, শহিদ নাজমূল আহসান হল ও আশরাফুল হক হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্টে মূলে বরাদ্দকৃত বাকৃবির মূল গেইট নির্মাণের কাজ, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২৩ সালের ১ মার্চ ইস্যুকৃত বাকৃবি কমিউনিটি সেন্টার মেরামত ও সংস্কার (সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল) কাজ, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ইস্যুকৃত ঈশা খাঁ হল ও শাহজালাল হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২২ সালের ১৯ মে ইস্যুকৃত সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত ও সম্প্রসারণ এবং ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ইস্যুকৃত ছাত্রী হলের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। 

আবেদন পত্রে উল্লেখিত এসব কাজের অনুমোদিত প্রাক্কলন, নকশা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির প্রতিবেদন, দরপত্র বাছাই ও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, কার্য সম্পাদন জামানতের প্রমাণপত্র, কার্য সম্পাদনের প্রত্যয়নপত্র, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, চুক্তিপত্র, জামানত, বিল ভাউচার, চেকের মুড়ি, প্রজেক্ট সমাপ্তের সনদ, সম্পাদনের জামানত অবমুক্তির নথিপত্রসহ এতদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র আগামী ১০ মার্চের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে স্বচ্ছ। বে-নামে কেউ একজন দুদক বরাবর অভিযোগ করেছে। যার স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্যে দুদক থেকে সংশ্লিষ্ট কাগজ চাওয়া হয়েছে। উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা কাগজপত্র প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দুদকের কাছে কাগজগুলো দিতে পারবো বলে মনে করছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, দুদক থেকে তদন্তের স্বার্থে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আমি প্রধান প্রকৌশলীকে কাগজপত্রগুলো দেওয়ার জন্যে বলেছি। কেউ একজন হইতো অভিযোগ দিয়েছে। এজন্য স্বচ্ছতা এবং প্রাথমিক তদন্তের জন্যে তারা কাগজপত্র চেয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো কিছু প্রমাণিত হয়নি।

/লিখন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়