ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

জবির ছাত্রী হলে সিনিয়রের মারধরে জ্ঞান হারালো জুনিয়র

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৫, ৭ মার্চ ২০২৪  
জবির ছাত্রী হলে সিনিয়রের মারধরে জ্ঞান হারালো জুনিয়র

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরদিন বুধবার (৬ মার্চ) ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত উভয়ই প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে জবির ছাত্রী হলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে রান্নাঘরে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করেন সংগীত বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসমিম সানজানা সৃষ্টি। এ ঘটনায় ছাত্রী হলের হাউস টিউটর ও প্রাধ্যক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ইতি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ইতি খাতুন বলেন, আমি রান্না করছিলাম। পরে চুলা ফাঁকা থাকায় সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চাইলে ছেড়ে দিই। কিন্তু তার রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় এবং আমার ক্লাসের সময় হওয়ায় দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। এজন্য তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। কারণ আমি জুনিয়র। এমনকি আমরা মরা বাপ তুলেও গালি দেন তিনি। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে খুব মারধর করেন। এতে অজ্ঞান হয়ে যায়।

অভিযুক্ত তাসমিম সানজানা সৃষ্টি বলেন, জুনিয়র হয়ে ইতি বেয়াদবি করে। আমার সামনে তেড়ে আসে। এজন্য আমি কি বসে থাকব। আমিও মার খেয়েছি এবং অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রানী বলেন, মারধর নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে এটা তোলা হবে।

এদিকে বুধবার (৬ মার্চ) রাতে  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইতির বক্তব্য নেওয়ার পর অভিযুক্ত সৃষ্টির কাছে ফোন দেন সাংবাদিকরা। এর জেরে সৃষ্টির বন্ধু ফাহিম ইশতিয়াক এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। নিউজ করলে মামলার হুমকিও দেন। হুমকির কল রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

কল রেকর্ডে ফাহিম ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘এই নিউজ যদি হয়, তুই যদি জড়িত থাকিস, তোর খবর আছে। তোর নামে মামলা হবে। তোর লাইফ কিভাবে হেল করতে হয়, আমি দেখব। তোর সাহস কি। তুই আজ দেখা কর। তোর খবর আছে।’ এছাড়া প্রকাশযোগ্য নয় এমন অশ্লীল ভাষায় তিনি ওই সাংবাদিককে গালিগালাজ করেন।

জানতে চাইলে হুমকি দাতা ফাহিম ইশতিয়াক বলেন, ওই সাংবাদিক আমার বান্ধবীকে কল দেন। বান্ধবী কান্নাকাটি করে আমাকে সমস্যা সমাধান করতে বলে। তাই আমি ওই সাংবাদিককে কল দিয়ে কথা বলি। উত্তেজিত হয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ফেলেছি।

হুমকিদাতা ফাহিম সাংবাদিকদের কাছে ছাত্রলীগের পরিচয় দেন। ফেসবুকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির সঙ্গে তার ছবি আছে।

তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, এই ছেলে ছাত্রলীগের কোনো রাজনীতিই করে না। তাকে আমি চিনিই না।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি একটি নিন্দনীয় কাজ। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত কাজ করবে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

/লিমন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়