ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ই মার্চ দিবস পালন

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪২, ৭ মার্চ ২০২৪  
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ই মার্চ দিবস পালন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (কুবি) দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) নানা আয়োজনে ৭ই মার্চ দিবস পালন করা হয়েছে। রাইজিংবিডি.কম এর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে থাকছে বিস্তারিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)

৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষে সকালে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য'  শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তাদের বংশধররা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান স্বীকার করতে চায় না। এই গোষ্ঠী এখনও নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করে। তাদের এই ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)

সকাল ১১ টায় র‍্যালির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। র‍্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়। এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)

‘রক্ত দিন জীবন বাঁচান’ স্লোগানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণে সাদ্দাম হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আছিয়া খাতুন মেমোরিয়াল রেড ক্রিসেন্ট, মাগুরা'র সহায়তায় পুরাতন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এই রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় দিনব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সাদ্দাম হোসেন মুন্নার নেতৃত্বে পরিচালিত ক্যাম্পে ছয়জন প্যারামেডিক ও প্যাথলজিস্ট অংশ নেন। ক্যাম্প থেকে রক্তদাতাদের রক্ত গ্রহণকালে ডোনারকার্ড প্রদান করা হয়। এই কার্ডের বিনিময়ে রক্তদাতারা প্রয়োজনে রক্তসহ আছিয়া খাতুন মেমোরিয়াল রেড ক্রিসেন্ট থেকে রক্তের পাঁচটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করতে পারবেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, দিসবটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন রবি উপাচার্য। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)

দিবসটি উপলক্ষে চাঁবিপ্রবিতে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর (অব.) মো. আবদুল হাইসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থাপনা করেন উপাচার্য দপ্তরের মো. আরিফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিকামী বাঙালিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতে উজ্জীবিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর মত মহান নেতা পেয়ে আজ আমরা ১৮ কোটি বাঙালি গর্বিত।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক  ড. মো. সাইফুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক  ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক  ড. মো. মাহাবুব হোসেন। এরপর শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের  ডীনবৃন্দ, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। 

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

৭ মার্চ উপলক্ষে সাড়ে ১২টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ৫৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু যেদিন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। আজও সেই ভাষণের তেজোদীপ্ততা কানে বাজে। দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়নের এক পর্যায়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালির জন্য ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন প্রমুখ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)

দিসবটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট ও দপ্তর পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজ

শিক্ষার্থীদেরকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষে তিতুমীর কলেজে অস্থায়ী বইমেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া শহীদ বরকত মিলনায়তনে প্রফেসর খালেদা পারভীন হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অস্থায়ী বইমেলার আয়োজন করা হয়।  

বইমেলার তত্বাবধানে থাকা ড. অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ করতে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা বইবিমুখ হয়ে পড়েছে। সে জন্যই বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় কিছু সংখ্যক বই ধার এনে মেলার আয়োজন করেছি।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়