ঢাকা     রোববার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

সাত দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১০, ১৩ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:১১, ১৩ মার্চ ২০২৪
সাত দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির

সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দুদিন ক্লাস বর্জনসহ মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবিগুলো হলো- উপাচার্য কার্যালয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্রদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কার পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদদাতা প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ; ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা; অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহের ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা; শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুন্ন করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ; ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা; ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

উপরে উল্লিখিত সাত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে শিক্ষক সমিতির নেওয়া তিনটি তিনটি সিদ্ধান্ত হলো- বুধ ও বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন (পূর্ব ঘোষিত চূড়ান্ত পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে), আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, গত ৬ মার্চ শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্যের বিরূপ মন্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব ও বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, 'এই দাবি সব শিক্ষকের। আমরা শিক্ষক সমিতি থেকে আগেও এই বিষয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে উপাচার্যকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

/এমদাদুল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়