ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

হোটেলে পঁচা খাবার বিক্রি নিয়ে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী সংঘর্ষ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২৪  
হোটেলে পঁচা খাবার বিক্রি নিয়ে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসী সংঘর্ষ

ইফতারে পঁচা খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার (১৭ মার্চ) রাতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট ও ঘটনাস্থলে রাতভর পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট সংলগ্ন ত্রিশালের সারেং হোটেল থেকে কেনা ইফতারে পঁচা বেগুনি পাওয়ার অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় বিষয়টি নিয়ে  হোটেল কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং রাতে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় হোটেলের থাইগ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের রাস্তার পাশের রুমগুলোতে পাথর ছুঁড়ে মারে এলাকাবাসীরা। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।

পরে ২নং গেট ও বটতলা সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের মেসগুলোতেও এলাকাবাসী হামলা চালালে উত্তেজিত  শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা সারেং হোটেল ভাঙচুর করে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যহত ছিল।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান ত্রিশাল থানা পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও  পুলিশ একযোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে।

একই কথা বলেছেন সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার। তিনি বলেন, খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। খাবারের মান যাচাইয়ে পরবর্তীতে মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য ওই এলাকায় পুলিশ টহল চলছে।

/তৈয়ব/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়