নিপীড়কদের বিরুদ্ধে উদাসীন জবি প্রশাসন, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের  

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিপীড়কদের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ করেন।

এসময় কিশোর সাম্য নামের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বলেন, অবন্তিকার আত্মহত্যার পর আমাদের সামনে আরও কিছু ঘটনা এসেছে। যেখানে দেখা গেছে নিপীড়করা এখানে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়কদের আশ্রয়ের ঘর হয়ে উঠেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ হয়ে আছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচার দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারা বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

জবি শিক্ষার্থী শাহ সোবহান সাকিব বলেন, গতকালই আমরা স্মারকলিপির দাবিগুলো আপনাদের বলেছি। আজ উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসায় তার কাছে জমা দিয়েছি। তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু আমরা আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আজ নতুন একাডেমিক ভবনে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি হয়েছে এবং আগামী রোববার গণ স্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে জানান তিনি।

স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবিগুলো হলো- অবন্তিকা হত্যার সমস্ত প্রমাণ আমলে নিয়ে দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে, অংকন বিশ্বাসসহ পূর্বে দায়েরকৃত সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে, পূর্বতন প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, ফাইরুজ অবন্তিকা ও অংকন বিশ্বাসের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্মারক ফলক নির্মাণ করতে হবে।