ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

তীব্র তাপদাহে জাবিতে বারবার লোডশেডিং, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  
তীব্র তাপদাহে জাবিতে বারবার লোডশেডিং, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান ও চলাচলে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে অব্যহত লোডশেডিং শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

শ্রেণিকক্ষের পাঠদান, অনলাইন ক্লাস, গবেষণা কাজ ও প্রশাসনিক কাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এছাড়া কিছু বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হল, বিভাগের ক্লাসরুমসহ সর্বত্র নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে আবাসিক হলগুলোতে লোডশেডিংয়ের কারণে শান্তিতে থাকতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়ছে। গত এক সপ্তাহে নিয়ম করে দিনে তিন থেকে পাঁচবার পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। একেকবার লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎ ফিরে আসতে ন্যূনতম ১ ঘণ্টা সময় নিচ্ছে। আবার কখনও কখনও বাড়ছে সময়ের স্থায়িত্ব। 

বারবার লোডশেডিংয়ের ফলে একদিকে শিক্ষকরা পাঠদানে সমস্যায় পড়ছেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশন ও অন্যান্য ডিজিটাল উপকরণের ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষাদানের মান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অপরদিকে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন না শিক্ষার্থীরাও। অনেক বিভাগে বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান রয়েছে। ফলে ঠিকমতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেও পারছেন না শিক্ষার্থীরা। 

শুধু শ্রেণিকার্যক্রম নয়, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজেও। প্রশাসনিক অনেক কাজ অনলাইন বেজড ও ডি-নথিভুক্ত হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে কার্য সম্পাদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন কর্মকর্তারা। গত কয়েক মাসের তুলনায় বর্তমানে লোডশেডিংয়ের হার বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন সবার প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন ঘন ঘন লোডশেডিং আমাদের জন্য বিড়ম্বনার। একদিকে হলে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে, অন্যদিকে ক্লাস চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে গেলে মনোযোগও বসে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েকদিন পর থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। একটু যে ঠিকমতো প্রস্তুতি নিব তাও সম্ভব হচ্ছে না। দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে লোডশেডিংয়ে জীবন যায় যায় অবস্থা। গত কয়েকদিনে এ সমস্যা খুব বেড়েছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করছি।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শামসুল হক মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি তার অফিসে যাওয়ার কথা বলে মোবাইল কল কেটে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্র্রার আবু হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের বিভাগগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা, ল্যাব চলছে। আমরা এ বিষয়ে পল্লি বিদ্যুৎ কতৃর্পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।’

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়