নোবিপ্রবিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার
নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডিএম) বিভাগ প্রথমবারের মতো এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।দিনব্যাপী এ সেমিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও নিরসন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, পরিবেশগত সমস্যার সমাধান এবং উপকূলীয় এলাকায় টেকসই ব্যবস্থাপনা।
সেমিনারে কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীনসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষকরা আলোচনা করেন। তারা পরিবেশগত সমস্যা মোকাবিলায় সবার সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
ইএসডিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেমিনারের আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঁঞা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেমিনারের সদস্য সচিব ও ইএসডিএম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়ন্ত কুমার বসাক।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, গত কয়েক দশক ধরে প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, এখন তার ফলাফল আমাদের সামনে ভয়াবহভাবে উপস্থিত। অনাবৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় বন্যা হচ্ছে। বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় তীব্র তাপদাহ ও খরা। এগুলো মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিকভাবেই পরিবেশের নানা সংকট দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে তীব্র তাপদাহ অনুভূত হচ্ছে। মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইএসডিএম বিভাগের আজকের এ সেমিনার সময়োপযোগী একটি আয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো নিয়ে গবেষক ও পরিবেশকর্মীসহ অংশীজনরা নানা আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছিলেন। এখন আমরা সে ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবক গ্রিনহাউজ গ্যাস ও কার্বন নির্গমন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়ী দেশগুলোর তালিকায় না থেকেও বাংলাদেশ ভয়াবহভাবে এর ক্ষতিকর প্রভাবের মুখোমুখি। বৈশ্বিকভাবে এসব বিষয়ে নানা আলোচনা হলেও এর ফলপ্রসূ কোনো দিক পরিলক্ষিত হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ক্ষমতাধর দেশগুলোতে গ্রিনহাউজ গ্যাস ও কার্বন নির্গমন কমানো হচ্ছে না।
উল্লেখ্য,সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের কাছ থেকে নির্বাচিত ২৪ টি পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
/ফাহিম/মেহেদী/