ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

ঢাবির হলে শিক্ষার্থীদের সিট কর্মকতাদের দখলে

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫২, ১৯ মে ২০২৪  
ঢাবির হলে শিক্ষার্থীদের সিট কর্মকতাদের দখলে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসিম উদ্দীন হলের মূল ভবনের ১৫০ শিক্ষার্থীর সিট দখল করে আছে হলটির কর্মচারীরা। এর প্রতিবাদ ও কর্মচারীদের স্থানান্তর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য জায়গাটি বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলন করেছে হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে কর্মচারী প্রবেশের মূল গেইটে তালা দিয়ে প্রতিবাদী আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, জসিম উদ্দীন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট হলের মধ্যে একটি। যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য সে পরিমাণ সিট নেই। তারপরও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে লাখ টাকা বেতন পাওয়া কর্মচারীরা ভোগদখল করে রেখেছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন হল প্রাধ্যক্ষ্যের নিকট পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে হল প্রশাসন আশ্বাস দিয়েও কোনও ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়নি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত হল থেকে কর্মচারীদের স্থানান্তর করে কৃত্রিম সংকট দূর করতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

এ বিষয়ে হল প্রশাসন প্রধান অধ্যাপক ড. শাহীন আলম খান বলেন, হল প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে এখানে শিক্ষক-কর্মচারীরা বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে তাদের বের করে দেওয়া অমানবিক।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ বা স্মারকলিপি দেয়নি। তবে, ২৬ মের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করে কার্যকরী একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস জানান।

সরেজমিন দেখা যায়, হলটিতে ১০টি ইউনিট আছে। যেখানে তৃতীয় তলায় ২ ইউনিট, চতুর্থ তলায় ৪ এবং পঞ্চম তলায় চার ইউনিট। প্রতি ইউনিটে ২টি করে রুম রয়েছে। এখানে তৃতীয় তলায় ২ ইউনিটে পরিবারসহ থাকেন দুজন কর্মকর্তা। চতুর্থ তলার ৪ ইউনিটে থাকেন দুটি পরিবার। চতুর্থ তলার ৪ ইউনিটে থাকেন আরও দুটি পরিবার। আর পঞ্চম তলায় চার ইউনিটে থাকেন ৪টি পরিবার।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে হলের একটি অংশে বসবাস করতেন হলটির শিক্ষকরা। পরে তাদের জন্য আলাদা আবাসিক কোয়ার্টার করা হলে সেই স্থানের দখল নেন হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মাসে মাত্র আড়াই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে অবস্থান করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের অংশ দখল করে তাদের থাকায় বেশ কয়েকবার আন্দোলন করেছেন হলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তবে অজানা কারণে তাদের স্থায়ীভাবে অপসারণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হল প্রশাসন।

হারুন/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়