ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

জবির মসজিদে ঘুমন্ত ছাত্রী, তদন্ত কমিটি গঠন

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ২৮ মে ২০২৪  
জবির মসজিদে ঘুমন্ত ছাত্রী, তদন্ত কমিটি গঠন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারী শিক্ষার্থীকে পাওয়ার ঘটনায় মসজিদের ইমাম ছালাহউদ্দীন আহমেদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জানা গেছে।

গতকাল সোমবার (২৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী রাত ১১টা ২০মিনিট পর্যন্ত অবস্থান ও ঘুমানো এবং ইমামের দায়িত্ব অবহেলার তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে পাঁচজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। এতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর খালিদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী, আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম ও অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এএনএম আসাদুজ্জামান ফকিরকে রাখা হয়েছে।

এছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনের সময় থেকে মসজিদের ইমাম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি লাইব্রেরিয়ান শেখ মো. সালাহ্ উদ্দিনকে ও মুয়াজ্জিন হিসেবে বাসের হেলপার মো. হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৬ মে জবির কেন্দ্রীয় মসজিদে এক ছাত্রীকে একা রাত ১১টার দিকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রক্টর অফিস বিষয়টি জানার পর ওই ছাত্রীকে ছাড়তে নিষেধ করেন এবং তারা আসার পর ছাড়তে বলেন। কিন্তু ইমাম ছালাহউদ্দীন ওই ছাত্রীকে তড়িঘড়ি করে বের করে দেন। ওই ছাত্রী অসুস্থ ছিল বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে পরদিন ইমামকে জবি প্রক্টর অফিসে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি প্রক্টর অফিসে যাননি।

ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার কথা জানাতে পারি। খবর পেয়ে দ্রুত একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ইমাম মেয়েটিকে দ্রুত হলে পাঠিয়ে দেন। এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। এজন্য তাকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অন্য কোনো ইস্যু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই নারী শিক্ষার্থী যখন মসজিদে ঘুমিয়ে ছিল, তখন লাইট জ্বালানো ছিল। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন লাইট বন্ধ। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তো ঘটতে পারতো।

শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইমামের কিছু হয়েছিল কি না, তার পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, ঘটনাটি এ রকম মিনিংফুল কিছুই না। বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ হওয়ায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ছালাহউদ্দীনকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে এ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান থাকায় সহকারী ইমামকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম ছালাহউদ্দীনের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়।

/লিমন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়