প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গঠনে পর্যাপ্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকে। ফলে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের সুযোগ পায়। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্যারিয়ার গঠনে পর্যাপ্ত নয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

শনিবার (১ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাপনীতে তিনি ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটিকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে পাঠদান করা হয়, সে জ্ঞান নিয়ে কর্মক্ষেত্রে ভালো করা সম্ভব নয়। খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থী গবেষণার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে। বর্তমানে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। একজন শিক্ষার্থী যদি নিজেকে বিতর্ক, পাবলিক স্পিকিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখে, তাহলে শুধু দেশে নয়, বিদেশেও কর্মক্ষেত্রের সুযোগ বাড়বে।

ছাত্রজীবনে বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে স্মৃতিচারণ করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিতর্ক শুধু একজন বিতার্কিকের জ্ঞানের বিকাশ ঘটায় না। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ও ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেদের সৃজনশীলতাকে বাড়াতে পারে। দক্ষতার অভাবে এ দেশের গ্রাজুয়েটরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী যখন নিজেকে বিতর্ক চর্চার সঙ্গে যুক্ত রাখবে, তখন তার পাবলিক স্পিকিংয়ে জড়তা ও ভয় কেটে যাবে।

১৩ বছর পর দুই দিনব্যাপী তৃতীয় এ জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ডিবেটার্স অব চিটাগং ইউনিভার্সিটি এবং রানার্স আপ হয়েছে আহসানউল্ল্যাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব।

সমাপনীতে এ প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্ল্যাহ খান।

অন্যদের মাঝে নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা কমিটি সদস্য এবং নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, 'মগজে দূর করি মননের কলঙ্ক’ স্লোগানে গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। মোট ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ জন বিতার্কিকের অংশগ্রহণ করেন। ছয়টি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ৩০ জন।