ঢাকা     রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

জাবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এসি ব্যবহারের অভিযোগ

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ২ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩২, ২ জুন ২০২৪
জাবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এসি ব্যবহারের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সহকারী কম্পট্রোলার ফিরোজ আহমেদের কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অংশীজনদের মধ্যে চলছে সমালোচনার ঝড়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় অনেক শিক্ষক ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসি ব্যবহারের সুযোগ পাননি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী হিসাবাধ্যক্ষের কক্ষে এসি  লাগানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।  আবার কেউ কেউ বলছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় এসি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন সহকারী হিসাবাধ্যক্ষ ফিরোজ আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, কম্পট্রোলার, অনুষদ ডিন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রাধ্যক্ষ এবং কিছু অফিস প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে তাদের অফিস কক্ষে এসি লাগাতে পারবেন। এর বাইরে, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বা শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ এমন কারো যদি এসির প্রয়োজন হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে নিজ খরচে এসি লাগাতে পারবেন। এছাড়া কেউ চাইলেই তার কক্ষে এসি লাগানোর নজির বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।

এ অবস্থায় সহকারী কম্পট্রোলার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ কীভাবে তার কক্ষে বিলাসী এই পণ্য ব্যবহারের অনুমতি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে।

সহকারী কম্পট্রোলারের কক্ষে এসি লাগানোর খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন জাবি অফিসার সমিতির সাবেক সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আজীম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারদের যে একটি নীতিমালা আছে, সেখানে একজন অফিসার কি কি সুযোগ সুবিধা পাবে সব উল্লেখ করা আছে। অফিসিয়াল ব্যক্তিগত কক্ষে সে এসির ব্যবস্থা করতে পারবেন না। একজন সহকারী কম্পট্রোলার যদি এসি নিতে পারেন, তাহলে আমরা যারা ডেপুটি রয়ে গেছি তাদের এসি নিতে দোষের কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি অন্যায়ভাবে অনুমতি দিয়েছে। তাকে যদি এসি দেওয়া হয় তাহলে প্রত্যেকটা ডেপুটির এসি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কম্পট্রোলার  ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে আমার কিছু বলার নেই, উপাচার্য স্যারকে জিজ্ঞেস করো? উপাচার্য স্যারের অনুমোদন নিয়ে পুরনো এসি লাগানো হয়েছে। যেকোনো ফাইলের সুপারিশ আমি করি। নোটিশে লেখা ছিল স্যারের মৌখিক নির্দেশে এসিটি লাগানো হয়েছে। স্যার যখন মৌখিক নির্দেশ দেন, আমাকে তখন সুপারিশ দিতেই হবে। আমি সুপারিশ দিয়েছি, স্যার অনুমোদন দিয়েছেন। পরবর্তীতে এসিটি খুলে ফেলার জন্য স্যার আবার নির্দেশ দিয়েছেন।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়