ইবি রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল
ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![ইবি রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল ইবি রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/IU-registar-news-2406021452.jpg)
রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসানের চেহারাসদৃশ একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১ জুন) ‘ইবির ত্রাস' নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, রেজিস্ট্রার অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করছেন। তবে ভিডিওটি এআই এডিট বলে দাবি রেজিস্ট্রারের।
এ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন রেজিস্ট্রার। আইটি বিশেষজ্ঞ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সহায়তায় ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন সময়ে লেনদেন সংক্রান্ত অডিও ও সর্বশেষ নগ্ন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে সাময়িক অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। রোববার (২ জুন) সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে তারা বলেন, রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধীকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে তার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। আজ রোববার অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া রেজিস্ট্রারের সঙ্গে এক ঠিকাদারের অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে একটি অডিও প্রকাশিত হওয়া নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। সেই রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, ভিডিওটি এআই দিয়ে এডিট করা। আমাকে হেনস্তা করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ এসব করেছে। ন্যাচারালি এর শান্তি তারা পাবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে প্রশাসনের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের উল্টাপাল্টা পোস্ট করা হয়। এসব নেগেটিভ কাজকর্ম যারা করে, তাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। উড়ো জিনিসের উপর ভিত্তি করে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। কারো কাছে যদি শক্তিশালী প্রমাণ থাকে, তাহলে সরাসরি সেটা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। আর এই বিষয়টি যেহেতু সামনে এসেছে, এর সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কণ্ঠসদৃশ্য নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত অন্তত ২০টি অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে অডিওগুলো পোস্ট করা হয়। এগুলো এডিট দাবি করে থানায় জিডি করে কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি যেসব ফেসবুক পেইজ ও আইডি থেকে এসব অডিও-ভিডিও পোস্ট করা হয়, সেগুলো বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপও নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
/ইদুল/মেহেদী/
আরো পড়ুন