ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

২ শিক্ষক দিয়ে চলছে বশেমুরবিপ্রবির এনিম্যাল সাইন্স বিভাগ

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০১, ৩ জুন ২০২৪  
২ শিক্ষক দিয়ে চলছে বশেমুরবিপ্রবির এনিম্যাল সাইন্স বিভাগ

দীর্ঘ ছয় মাস ধরে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এনিম্যাল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগ। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো প্রতিকার না হওয়ায় গতকাল রোববার (২ জুন) উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এদিন  তারা শিক্ষক নিয়োগ, ল্যাবের পর্যাপ্ত সুবিধা ও সেশনজট থেকে মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী মিছিলও করেন।

আশানুরূপ ফল না পেয়ে সোমবার (৩ জুন) উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এএসভিএম বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।

সোমবার দিনভর ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এসময় তারা নিজেদের বিভাগের অফিসরুম ও শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এএসভিএম বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভাগে ২০১৭-১৮ থেখে  ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ছয়টি ব্যাচের পাঠদান চলছে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে।

জানা যায়, বিভাগের পাঁচ বর্ষের দেশি ও বিদেশি তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর মোট ১০ সেমিস্টারে মোট ২০১টি ক্রেডিটের তত্ত্বীয় ও ল্যাব রয়েছে। বর্তমানে বিভাগটিতে মোট তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপক হুর-ই-জান্নাত ও ড. মার্জিয়া আফরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলেও আরেক শিক্ষক শরিফুজ্জামান ২০২২ সালের আগস্টে শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের সব ক্লাস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কয়েকজন অতিথি শিক্ষক অনলাইনে নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: মাত্র ৪ শিক্ষক দিয়ে চলছে বশেমুরবিপ্রবির রসায়ন বিভাগ

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও তারা কোনো শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না, যা খুবই দুঃখের বিষয়। পর্যাপ্ত শিক্ষক ও যথাযথ ল্যাবের সুযোগ না থাকায় তারা প্রতিনিয়ত নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়াও সেশনজটের কারণে তারা চাকরির প্রতিযোগিতায়ও পিছিয়ে যাচ্ছেন। অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা।

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, ‌‘শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এ বিষয়ে আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবকে মোবাইলে কল দেওয়া হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে তার দপ্তর তালাবদ্ধ থাকায় সশরীরে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে নিজের অপারগতা  প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, ‘এ বিষয় উপাচার্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে, তিনি শিক্ষক অনুপাতে বেশি শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। তাকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটান।’

/হৃদয়/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়