ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

অফিসে শুধুই ঘুমান জাবির উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ছবি ভাইরাল

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৩, ৪ জুন ২০২৪
অফিসে শুধুই ঘুমান জাবির উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ছবি ভাইরাল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কানিজ সায়েমার বিরুদ্ধে অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে ঘুমানোর অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী চারদিন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে গিয়ে চারদিনই তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অফিস চলাকালে তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় আছেন- এমন কিছু ছবি ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো উঠে আসে।

ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কানিজ সায়েমা অফিস চলাকালে নিজ আসনে বসে ঘুমিয়ে আছেন।

জেইউ ইনসাইডার নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্টে এক ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘জনাব কানিজ সায়েমা, দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। সারারাত কি করেন, মাবুদ জানে। টানা চারদিন গেলাম ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে। চারদিনই ঘুমে পেলাম। তাও সকাল ৯টায় একদিন, সাড়ে ১০টায় একদিন, ১১টায় একদিন এবং ১২টায় একদিন।’

ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আগের ডেপুটি কন্ট্রোলার মাসুদ ভাই যাওয়ার পর উনার কাছে যখনই গিয়েছি, মনে হয়েছে এনার মত দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তা আর হতে পারে না। ইভেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ম্যাক্সিমাম কর্মকর্তাই এই টাইপের। কাজ রেখে বিরতির আগেই চা-বিড়ি খেতে চলে যান নিচে। কি এক ভয়াবহ অবস্থা। ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীর রেজাল্ট পাবলিশ করতে এরা ছয় মাস লাগায়। উদ্ভট উটের পিঠে চলছে জাহাঙ্গীরনগর।’

এদিকে ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পর নুসরাত জাহান তন্নী নামের এক শিক্ষার্থী ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে বলেন, “একদিন দুপুরে গিয়ে দেখি নামাজের মত বুকে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে বসে আছে। ভাবলাম নামাজ পড়ে বোধহয়। দাঁড়ায়ে আছি দেখে সামনের টেবিলের এক ভাই হেসে বললেন, ‘ডাক দেন’। পরে ঘুম থেকে উঠে সাইন করে দিছে।”

অফিস চলাকালে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে জানতে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কানিজ সায়েমার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সালাহউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়