ঢাকা     রোববার   ৩০ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

ইউজিসির সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবির এপিএ স্বাক্ষরিত

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ২৩ জুন ২০২৪  
ইউজিসির সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবির এপিএ স্বাক্ষরিত

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শতভাগ কাজের লক্ষমাত্রা দেওয়া হয়, যার উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাকিং করা হয়।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউজিসি ভবনের অডিটোরিয়াম কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে ইউজিসির পক্ষে সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং বশেমুরবিপ্রবির পক্ষে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষর করেন।

এসময় ইউজিসির সভাপতি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড.  মুহাম্মদ আলমগীর, ইউজিসির সব সদস্য এবং বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও এপিএ ফোকাল পয়েন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে শতভাগ কাজের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। 

ইউজিসির সভাপতি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড.  মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী (এম.পি)। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান, উপাচার্যদের পক্ষে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এপিএ বাস্তবায়নে ধারাবাহিক সফলতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া। 

চুক্তির বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মাহবুব বলেন, প্রতিবছর ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী অর্থবছরের কাজের বিবরনী দিয়ে দেয়। এ বিবরণী অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করে থাকে। এর মধ্যে ৩০ ভাগ কাজ ইউজিসি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে দেওয়া হয়। যার আওতাভুক্ত থাকে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ, অভিযোগ প্রতিকার সভা, তথ্য অধিকারপ্রাপ্তিসহ আনুষাঙ্গিক কিছু কার্যাদি। আর বাকি ৭০ শতাংশ কাজ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, নিয়োগ ও অন্যান্য। এ বছর ইউজিসি সঙ্গে আমরা কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। আশা করছি, আমরা ৮০ শতাংশের অধিক কাজ সম্পাদন করতে পারবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ইউজিসির সঙ্গে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। এ চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্মাণাধীন কাজ সংযুক্ত থাকে। ইউজিসি আমাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ দিয়েছে এবং আমরা কিছু কাজ সম্পাদনে উদ্যোগ নিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। আশা করি, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে আমরা চুক্তির আওতাভুক্ত কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবো।

/হৃদয়/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়