বেরোবি ও ইবিতে আবারও ৩ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

অর্থ মন্ত্রণালয় জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আবারও তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সেই সঙ্গে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষণা অনুযায়ী তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন।

সোমবার (২৪ জুন) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আগামী ২৫, ২৬, ও ২৭ তারিখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। তবে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

এদিকে একই দাবিতে তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। তারা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের নিচতলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। তবে পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। 

সোমবার (২৪ জুন) ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আগামী ৩০ জুলাই আমরা দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করবো। পরীক্ষাসমূহ এর আওতার বাইরে থাকবে। এতেও দাবি না মানা হলে আমরা ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি করবো৷ ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আমরা বর্জন করবো।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আযহার ছুটির আগেও একই দাবিতে কয়েক দফায় মানববন্ধন, মৌনমিছিল, কালো ব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।