ঢাকা     রোববার   ৩০ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

সিকৃবিতে শেষদিনের মতো শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৩, ২৭ জুন ২০২৪  
সিকৃবিতে শেষদিনের মতো শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক দাবি করে তা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে শেষদিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ৩০ জুন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ব্যানারে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ভবনের নিচতলায় অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এ সময়  বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিল, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানানো হয় এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে প্রত্যয় স্কিম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এবং প্রত্যয় স্কিমকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো সংবাদ এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমাদের এই আন্দোলন থেকে একবিন্দু পিছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ জায়গায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো।

সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, একটি ক্লাসের টপ সেরা ৫ থেকে, ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর বিসিএসে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শুধু অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন করা হয়। তার মানে হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের টারশিয়ারি মানকে ধ্বংস করে ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, আমেরিকা ইত্যাদি দেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে আসার পরিকল্পনা হচ্ছে। এরপর এখান থেকে আমাদের সন্তানরা মতিউর রহমান তৈরি হবে, আসাদুজ্জামান তৈরি হবে। কিন্তু এখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও পাবেন না যে মতিউর রহমান হয়েছে। একজন শিক্ষকও পাওয়া যাবে না যিনি রাতের আধারে পাসপোর্ট ছাড়া আখাউড়া বর্ডার দিয়ে পালিয়েছেন বা মার্ডারের  আসামি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। অথচ এইসব বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষকদের দেশের মানমর্যাদা রেখে কাজ করার চেষ্টাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

এসময় আরও বক্তব্য দেন, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান ও উন্নয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিঠু চৌধুরী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম এবং মৎস্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ।

/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়