ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

জাবিতে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংবিধি প্রণয়নের দাবি

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ২৯ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩৯, ২৯ জুন ২০২৪
জাবিতে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংবিধি প্রণয়নের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য ‘আর্থিক সংবিধি’ প্রণয়নের দাবি করা হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ‘জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণে সংবিধি’ প্রণয়নের দাবিও করা হয়।

বুধবার (২৬ জুন) উপাচার্য বরাবর এক আবেদনপত্রে এ দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন।

আবেদনপত্রে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজের তুলনায় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে । এছাড়াও উন্নয়ন কাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি ও তিনি আবেদনপত্রে তুলে ধরেন।

‌‘জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষনে সংবিধি’ বিষয়ে বলা হয়- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে পরিকল্পনাবিদ মাজহারুল ইসলাম যে মাস্টারপ্ল্যান দিয়েছিলেন, তাতে লেক, গাছ-পালা ও জীববৈচিত্র্য সম্বলিত সুন্দর ইকো-সিস্টেমভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার কথা ছিল। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য আজ হুমকির মুখে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ব্যতিরেকে বিপুল পরিমান ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, যত্রতত্র দোকানপাট ও স্থাপনা তৈরি ও জনসাধারণের অবাধ যাতায়াতের ফলে সৃষ্ট শব্দ দূষণ, কোলাহল, সংরক্ষিত প্রাকৃতিক অঞ্চল, জলাশয় সংকোচনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। যে কারণে ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখিসহ বিপন্ন প্রজাতীর প্রাণি ও পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় এ সংবিধি প্রণয়ন করা জরুরি। 

‘আর্থিক সংবিধির’ বিষয়ে আবেদন পত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করাসহ সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আর্থিক সংবিধি থাকা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। এরূপ আর্থিক সংবিধি প্রণয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের আর্থিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে এবং সম্ভাব্য যেকোনো আর্থিক অনিয়ম, অপচয় ও তসরুফ রোধ করা যাবে।

আবেদনপত্রে ২০২৪ সালের বার্ষিক অধিবেশনে সংবিধি দুটি সিনেটে অনুমোদনের জন্য দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ধারা ২৩(২)(জি)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে যেকেনো সিনেট সদস্য এরূপ সংবিধি প্রস্তুত করে সিনেটে তা অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে পারেন।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়