ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বৃক্ষনিধন নিয়ে জাবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘মনগড়া’

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৯, ১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২১:৪১, ১ জুলাই ২০২৪
বৃক্ষনিধন নিয়ে জাবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘মনগড়া’

অধ্যাপক ড. নূরুল আলম

উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কেটে ফেলা গাছগুলো ‘স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ আখ্যা দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের দেওয়া বক্তব্যকে ‘মনগড়া’ দাবি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ জুলাই) উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্য জানাজানি হলে তারা এমন দাবি করেন।

এর আগে, শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম সিনেট অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে উপাচার্য এ কথা বলেন।

উপাচার্য সিনেট অধিবেশনের ভাষণে বলেন, ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণ কাজ শুরুর প্রাক্কালে কিছু সংখ্যক গাছ কাটতে হয়েছে। তবে এসব গাছের বেশিরভাগই একাশিয়া, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে অনিবার্য কারণে একদিকে যেমন কিছু সংখ্যক গাছ কাটতে হয়েছে, অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রজাতির হাজারো গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ চারা রোপণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

তবে উপাচার্যের এমন বক্তব্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে কংক্রিটের জঞ্জালে পরিণত করার পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, ‘প্রশাসন বলছে একাশিয়া আর মেহগনি গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ক্যাম্পাসে তো একাশিয়া আর মেহগনি ছাড়াও আরও অনেক গাছ ছিল। তারা যদি বলে শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছগুলো কেটেছে তাহলে এটা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যাচার। সিনেট সদস্যদের সমর্থন আদায় করার জন্য তিনি এসব মিথ্যাচার করছেন।’

জাবি থিয়েটারের সম্পাদক মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ‘প্রশাসন যদি গাছ পাঁচ বা দশ বছর আগে থেকে গাছ লাগানো শুরু করে এখন এটা কাটতো, তবে সেটা ফলপ্রসূ হতো। কেননা একটা বাস্তুতন্ত্র তৈরি হতে কমপক্ষে দশ বছর সময় লাগে। কিন্তু উপাচার্য ঢালাওভাবে গাছ কাটাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন, তা উচিৎ নয়। তাছাড়া লেকের যে বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে, এটার রিপ্লেসমেন্ট কিভাবে হবে? একাশিয়া গাছ কেটে পরিবেশ রক্ষা করা হচ্ছে না, বরং পরিবেশ ধ্বংসই করা হচ্ছে।’

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘একটি মাস্টারপ্ল্যান মানে পুরো ক্যাম্পাসে যেকোনো কাজের সমন্বিত পরিকল্পনা থাকবে। উপাচার্য স্যার কি হলফ করে বলতে পারবেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সব একাশিয়া ছিল? বিশেষজ্ঞরা কি ওখানে গাছ কেটে বিল্ডিং করতে বলেছেন বা উনি নিজে কি বিশেষজ্ঞ? ফলত যে কথাগুলো উপাচার্য স্যার বলেছেন, আমার মনে হয় না সেগুলোর কোনো ভিত্তি আছে।’

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়