ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রতিবাদে জাবির গ্রন্থাগার অবরোধ

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৫, ১ জুলাই ২০২৪
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রতিবাদে জাবির গ্রন্থাগার অবরোধ

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান কর্মবিরতির মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারের প্রবেশপথে তালা দিয়ে কর্মচারীদের অবরোধ করে ফেলে।

সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় গ্রন্থাগারের টেকনিক্যাল অফিসার শিমুল কুমার বড়ুয়া গ্রন্থাগার বন্ধের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা তালা মেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরোধ করে বলে জানা গেছে।

এ সময় রসায়ন বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, প্রশাসন জোর করে আমদের উপর তাদের কর্মবিরতি চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাদের জন্য পড়শোনার ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য যৌক্তিক আন্দোলনকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে। 

৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজিম হোসাইন বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। আপনাদের আন্দোলনের স্বার্থে আমরাও সেক্রিফাইস করতে রাজি আছি। আমরা লাইব্রেরি থেকে বই ধার নেব না এবং অন্য কোনো সেবাও নেব না। তবে পড়াশোনা করা আমাদের অধিকার, এটা আমাদের দিতেই হবে। কাল সকাল থেকে আমরা এখানেই থাকব।

৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রনি মোল্লা বলেন, লাইব্রেরি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে আমরা এখন কোথাও যাব না। কর্মকর্তারা ভিতরে থাকবে। উপর মহল থেকে কেউ না আসা পর্যন্ত তারা কেউ এখান থেকে বের হতে পারবে না। 

৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, আমাদের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের কোনো আন্দোলনের সঙ্গে কখনো একাত্মতা পোষণ করেনি। আমরা বলছি অফিসিয়াল এক্টিভিটি বন্ধ থাকুক, আমাদের পড়তে দেওয়া হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়তে চায়। শিক্ষকদের প্রতিনিধি, কর্মকর্তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই- আমাদের সহিংস পন্থায় যেতে আমাদের বাধ্য করবেন না। আমরা চাই, বিশবিদ্যালয় প্রশাসন অন্তত আমাদের উপর কোনো অন্যায্য বাধা চপিয়ে দিবে না। 

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি আমাদের দুদিন সময় দেন৷ আমাদের চলমান আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা যেন দেখাতে পারি। আমাদের এ আন্দোলন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোর জন্যই। শিক্ষার্থীরা চাইলে তারপর নিজেদের মত আন্দোলন করতে পারে।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তে গত ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতির পর গত ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা। এরপর সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে। পাশাপাশি সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এর ধারাবাহিকতায় লাইব্রেরি বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়