কোটা বাতিলের দাবি
বৃষ্টিতেও জ্বলছে শিক্ষার্থীদের আগুন
ববি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![বৃষ্টিতেও জ্বলছে শিক্ষার্থীদের আগুন বৃষ্টিতেও জ্বলছে শিক্ষার্থীদের আগুন](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024July/BU-Road-barricate-News-2407041129.jpg)
হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রত্যাখ্যান করে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক ও ভোলা সড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা হাতে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় তাদের সড়কে আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।
এদিকে সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ববি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে জনসাধারণের। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স, পরীক্ষার্থীসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত গাড়ি আমরা যেতে দিচ্ছি। রাস্তা আটকানোর মুল লক্ষ্য এই আন্দোলন যেন উপর মহল পর্যন্ত যায়। কোটা দিয়ে মেধা ধ্বংস করে দেওয়ার যে কষ্ট, সেটার কাছে এটা কিছুই না। আমরা আশা করি, আটকা পড়া গাড়িতে থাকা মানুষ আমাদের এ আন্দোলনের সঙ্গে একমত হবেন।
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলাকালে এক ডিজিএফআই সদস্যের গাড়ি আটকে দেন ববি শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষুদ্ধ হয় ওই সদস্য গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের উপড়ে চড়াও হন এবং মোবাইলে শিক্ষার্থীদের ছবি তুলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ডিজিএফআই সদস্যের কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ডিজিএফআই সদস্যের গাড়ি সেখান থেকে সরিয়ে নিতে বলেন। এসময় পুলিশদের কাছে ওই সদস্য বলেন, আমরা জানতাম না এই আন্দোলনের কথা। ভিতরে একজন রোগী আছে। এজন্য আমরা যাওয়ার জন্যে তাড়াহুড়ো করতে থাকি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের যেতে দেয়নি।
ববির লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাফর আলি বলেন, আমরা তাকে সবার মতো করেই গাড়ি থামাতে বলি। কিন্তু সে গাড়ি থামাননি এবং বারবার হর্ণ দিয়েই যাচ্ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি আমাদের ছবি তুলে নেন এবং বলেন, আমাদের নাকি দেখে নেবে। গাড়ি সরকারি হলেও ভিতরে তার পরিবারের লোকজন ছিলেন। তিনি মূলত পারিবারিক কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছিলেন।
/সাইফুল/মেহেদী/
আরো পড়ুন