ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৯ ১৪৩২

অসহায় কুকুর-বিড়ালের সেবা দিচ্ছে ঢাবির অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিম

রায়হান হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ৯ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৬:০৪, ১২ জুলাই ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায়, অসুস্থ ও ক্ষুধার্ত কুকুর-বিড়াল আশ্রয়স্থল হলো অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিম অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি নামের একটি সংগঠন। ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এ সংগঠনের সদস্যরা এক যুগের বেশি সময় ধরে অসহায় প্রাণিদের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।  

জানা গেছে, ২০১২ সালে প্রাণিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একদল তরুণদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বর, আমতলা, টিএসসি, ভিসি চত্বর, মল চত্বর ও কার্জনসহ প্রায় সব জায়গায় ভাসমান কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য প্রাণিদের সেবা এবং ক্ষুধা দূর করার জন্য তৈরি করা হয় অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিম অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এ দলটির এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসনিম মাহজাবিন তানহা। তার সঙ্গে রাইজিংবিডির একান্ত আলাপচারিতা উঠে এসেছে অসহায় প্রাণিদের সেবা নিয়ে নানা তথ্য।

তাসনিম মাহজাবিন তানহা বলেন, আমাদের এ সংগঠন মহৎ কাজটা শুরু করছিলেন সাবরিনা সাব্বির আপুর মাধ্যমে। প্রথম দিকে আমাদের কোনো টিম ছিল না। বন্ধুদের নিজেদের হাত খরচের টাকা দিয়ে অসহায় অসুস্থ ও ক্ষুধার্ত কুকুর-বিড়ালদের খাবারের যোগান হতো। এরপর ২০১৫ সালে অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিম অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি নামে ফেসবুক পেইজ খোলা হয়। এতে আমাদের সেবার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ভাসমান কুকুর-বিড়ালের সেবার জন্য আমরা ফোন পেতে থাকি। একপর্যায়ে অভয়ারণ্য ও পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (পিএডব্লিউ) নামের একটি সংস্থা আমাদের টিমকে সাহায্য করে।

তিনি বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের অসুস্থ ও ক্ষুধার্ত কুকুর বিড়ালদের খাবার দেওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানো, দত্তক দেওয়া ইত্যদি কাজ করে থাকি। আমাদের কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। যেকোনো সময় অসহায় প্রাণিদের প্রয়োজনে ছুটে যান অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিম অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’র সদস্যরা। এছাড়াও হলগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত প্রজনন রোধে কুকুর-বিড়ালদের বন্ধ্যাত্বকরণের কাজও করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার টিমের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাণিদের প্রাথমিক চিকিৎসা কিভাবে দিতে হয়, কিভাবে ধরতে হবে, কোন সমস্যার জন্য কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে, তা শেখানো হয়।

তানহা বলেন, আমাদের বড় প্রতিবন্ধকতার জায়গা হচ্ছে, সব প্রাণিকে সাহায্য করতে পারি না। কেননা আমাদের প্রায়ই অর্থ সংকটে পড়তে হয়। অসহায়, অসুস্থ ও ক্ষুধার্ত কুকুর-বিড়ালদের সেবার কার্যক্রমগুলো পরিচালনার অর্থ মূলত আসে দাতাদের কাছ থেকে। আবার বেশিরভাগ দাতা আমরা সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়া আমরা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ফান্ড রেইজ করে থাকি। আশা করি, একদিন ক্যাম্পাসে সব প্রাণিদের সেবা করতে পারবো।

/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়