ঢাকা     বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩২

থানা থেকে ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নিয়েছে জবি প্রশাসন

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৫, ১ আগস্ট ২০২৪  
থানা থেকে ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নিয়েছে জবি প্রশাসন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রাইজিং বিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, জবি প্রশাসনের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ি ঢাকা ও ঢাকার বাহির থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এসব শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। সেই সঙ্গে আর্থিক এবং আইনি সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য তারা দৃশ্যমান সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। উপাচার্য, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদারকি করছেন। 

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, বিভিন্ন থানা থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। পার্শ্ববর্তী কোতোয়ালি থানা থেকে নয় জন, সাভার থেকে একজন, টাঙ্গাইল থেকে দুইজন এবং লক্ষ্মীপুর থেকে একজনকে ছাড়িয়েছি। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তা করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের হল না থাকার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মেসে বসবাস করে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যেতে পেরেছে, অনেকে আবার ঢাকায় রয়েছে। এ সময়ের ভেতর পুলিশের অভিযানে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত আমরা ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বলতে চাই— কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার যাতে না হয়, সে জন্য অভিভাবক হিসেবে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে আছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানাই, তাদের সহযোগিতার জন্য।

/লিমন/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়