ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

‘বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা’

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৭ আগস্ট ২০২৪  
‘বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা’

বিজয়ের সুফলকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্য।

বুধবার (৭ আগস্ট) নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের চবি সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে সোমবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশের কুখ্যাত খুনি ও স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও লজ্জাজনক পলায়নের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায় ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকগণ মনে করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করে প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। সেটা প্রতিহত করতে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্রে মেতেছে এবং বিজয়ের সুফলকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারই অংশ হিসাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায় ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কাপুরুষোচিত হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা বাংলাদেশে সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্থিতিশীলতাকেও বাধাগ্রস্থ করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।

নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকগণ বলেন, এ জাতীয় হীন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিপ্লবী জনতা সোচ্চার ও সজাগ থেকে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এবং নিজ নিজ এলাকায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়কে রক্ষা করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টার বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করবেন।

চবির নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্র জনতার হাত ধরে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। দেশব্যাপী এক ফেরাউনের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হয়েছে। কিন্তু মহান এ বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিজয় পরবর্তী রাষ্ট্রকে দুমড়ে দেওয়ার জন্য স্বৈরাচারের বাহিনীরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। সবাইকে সচেতনভাবে এর প্রতিরোধ করতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান (দর্শন), অধ্যাপক ইব্রাহিম হোসেন (আধুনিক ভাষা), অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী (দর্শন বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান (প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন (ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি), অধ্যাপক ড. নেছারুল করিম (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসাইন (ইসলামের ইতিহাস), অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম (অর্থনীতি), ড. মো. শহীদুল হক (যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক), অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. ইসমত আরা হক (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী (পদার্থবিদ্যা), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ (ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা), অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী (ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাছলিম উদ্দিন (অর্থনীতি), অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী (ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস), অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন (হিসাব বিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আলমগীর (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন (মনোবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. মীর হোসেন সোহেল (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক ড. হাসান খালেদ রউফ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক ড. কাজী আশরাফউজ্জামান (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক ড. এনএম সাজ্জাদুল হক (নৃবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. আ ক ম আবদুল কাদের (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক মো. ইমাম হোসেন (পরিসংখ্যান), অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম (পদার্থবিদ্যা), অধ্যাপক ড. আবুস সাদাত মুহাম্মদ আবদুল মান্নান চৌধুরী (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম শামছু উদ্দিন আহমদ (রসায়ন), অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. মো. মোশারেফ হোসেন ভূঁইয়া (রসায়ন), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (রসায়ন), অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন (ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা), অধ্যাপক ড. হারিসুর রহমান হাওলাদার (ম্যানেজমেন্ট), অধ্যাপক ড. এনামুল হক (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদুল হক (অর্থনীতি), অধ্যাপক ড. শেখ আফতাব উদ্দিন (ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস), অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসাইন (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান (দর্শন বিভাগ), অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ (লোক প্রশাসন), অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন (ওশানোগ্রাফি), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরী (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), অধ্যাপক ড. আহমদ আলী (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), অধ্যাপক ড. হাসমত আলী (ফাইন্যান্স বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাসুম (ইতিহাস), অধ্যাপক সামসুন নাহার মিতুল (দর্শন বিভাগ), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরূল ইসলাম (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযায়াত উল্লাহ ফারুকী (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস (আরবি বিভাগ), অধ্যাপক সালমা মমতাজ (ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা), অধ্যাপক ড. ওয়াহহিদা সুমি (মাইক্রোবায়োলজি), অধ্যাপক তানজিয়া শরমিন (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. লুলু ওয়াল মরজান (জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি), অধ্যাপক ড. শিরিন আকতার (দর্শন বিভাগ), অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম (মনোবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন (রসায়ন), অধ্যাপক ড. এইসএস ফারুক আলম (গণিত), অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম (গণিত), অধ্যাপক মো. রোকনুজ্জামান আজাদ (পরিসংখ্যান), অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন (পরিসংখ্যান), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর (পরিসংখ্যান), অধ্যাপক মোজাম্মেল হক (দর্শন বিভাগ), অধ্যাপক শের মাহমুদ (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), অধ্যাপক শাহ আলম (ইসলামের ইতিহাস) প্রমুখ।
 

/মিজান/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়