ঢাকা     বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২ ১৪৩১

নোবিপ্রবি প্রশাসনের ১০ জনের পদত্যাগ 

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ১০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২১:০৯, ১০ আগস্ট ২০২৪
নোবিপ্রবি প্রশাসনের ১০ জনের পদত্যাগ 

নোয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষসহ ১০ জন পদত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর নয়জন এবং শনিবার (১০ আগস্ট) কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাইমেনুল ইসলাম, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. কাউসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রুহুল আমিন, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. অবন্তী বড়ুয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মহিনুজ্জামান।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শনিবার (১০ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম অনুযায়ী শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টার মধ্যে পদত্যাগ না করায় তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট নোবিপ্রবি উপাচার্য, উপউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রাধ্যক্ষদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়কবৃন্দ।

গতকাল (৯ আগস্ট) রাতেও উপাচার্য, উপউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

এছাড়াও প্রতিবাদ স্বরূপ তারা উপাচার্য, উপউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান ফটকে তালা দেন এবং নামফলক থেকে উপাচার্যের নাম সরিয়ে ফেলেন। এসময় তারা শনিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত করার হুঁশিয়ারি দেন।

/ফাহিম/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়