ঢাকা     বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩২

বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম সমন্বয়কদের

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১১ আগস্ট ২০২৪  
বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম সমন্বয়কদের

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসনকে সসম্মানে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান, আন্দোলন সম্পর্কে মিথ্যাচার ও আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে ব্যবহার করার অভিযোগ এনে তারা এ আল্টিমেটাম দেন।

রোববার (১১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বশেমুরবিপ্রবি সমন্বয়কদের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ জুন থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। প্রশাসনের এ তৎপরতা শুরুর দিকে আন্দোলন সম্পর্কে নানাবিধ মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। গত ১৬ জুলাই থেকে বশেমুরবিপ্রবিসহ সারাদেশে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টনক নড়ে। আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে নতুন কৌশল গ্রহণ করে। ওই সময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যাতে উপস্থিত হতে না পারে, সে জন্য সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে শুরু করে।

গত ১৭ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যেন কফিন মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন প্রধান ফটক পর্যন্ত যেতে না পারে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গায়েবানা জানাজা প্রধান ফটকে আয়োজন করতে দিতে বাধ্য হয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ফাঁকা করে দিতে গত ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিশাল বহরকে আমন্ত্রণ জানায় বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন। তাদের মোতায়েন রেখে নির্দয়ভাবে স্বল্প সময়ের বিবৃতিতে মাইকিং করে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী লাঞ্চিত করেন। তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান খানকে প্রহার করেন।

সমন্বয়করা বলেন, বিপ্লবী ছাত্র সমাজের মতামতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ প্রশাসনের সব অংশীদার আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সসম্মানে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল সংস্কার করার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন বলে আশা রাখি। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন উপাচার্য হওয়ার খোয়াব না দেখে, সে ব্যাপারে সতর্ক বার্তা দেওয়া হলো। 

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বশেমুরবিপ্রবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান খান বলেন, আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবিরোধী প্রশাসনের পদত্যাগের ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, এর মধ্যেই প্রশাসন পদত্যাগ করবে। নয়তো আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। আর আমাকে যারা মেরেছিল, তাদের বিচার দাবি করছি।

/হৃদয়/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়